|
বন্ধুরা, চীনের ইয়ুন নান প্রদেশ হচ্ছে চীনের সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘু জাতি অধ্যূষিত একটি প্রদেশ। লোকসংখ্যা ৫ হাজারেরও বেশি সংখ্যালঘুজাতির সংখ্যা ২৫টি। এর মধ্যে ১৫টি জাতি হচ্ছে শুধু ইয়ুন নান প্রদেশের নিজের স্ববৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জাতি। বিভিন্ন সংখ্যালঘু জাতি ইতিহাসের প্রক্রিয়ায় নিজের বৈচিত্রময় উপযুক্ত জাতীয় সংস্কৃতি ও শিল্পের সৃষ্টি করেছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংখ্যালঘুজাতির সংস্কৃতি ধাপে ধাপে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের দিকে চলে যাচ্ছে।
সুতরাং, সংখ্যালঘুজাতির সংস্কৃতি রক্ষার কাজ ইতোমধ্যেই খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। সংখ্যালঘু জাতির সংস্কৃতি রক্ষার উদ্দেশ্যে চীনের ইয়ুন নান প্রদেশ সরকার ইতোমধ্যেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে উদ্যোগ নিয়েছে এবং অনাকটা সাফল্য অর্জন করেছে। বন্ধুরা, আজকের "সাংস্কৃতিক বিনিময়" অনুষ্ঠানে আমরা এ বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো।
আপনারা এই মাত্র শুনলেন যে, ইয়ুন নান প্রদেশের ই জাতির শিল্পী লুও ফেং সুয়ে'র গাওয়া গান "শেন কে"। এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে শুধু মাত্র লুও ফেং সুয়েই একজন যিনি এ গানটি গাইতে পারেন। নিজের বয়স ধীরে ধীরে বাড়ছে। তবে আজ পর্যন্ত এ গানটি কেউ গানতে পারেন না । এ ব্যাপারে লুও ফেং সুয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন
"আমার জাতির সংস্কৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি কেউ শিখতে না চান, তাহলে আমার জাতির সব মূলবান জিনিস হারিয়ে যাবে।"
চীনের ইয়ুন নান প্রদেশ পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থিত। বাইরের সাথে যোগাযোগ হয়তো একটু কম। এ কারণে ইয়ুন নান প্রদেশের সংখ্যালঘু জাতির সংস্কৃতি দীর্ঘকাল ধরে সুষ্ঠুভাবে বজায় রয়েছে।
তবে আধুনিকীকরণের সঙ্গে সঙ্গে বাইরের সংস্কৃতি অব্যাহতভাবে চলে আসছে এবং বাজার ও আধুনিকীকরণের আঘাতে সংখ্যালঘু জাতির ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি ধাপে ধাপে নিচের দিকে চলে যাচ্ছে এবং নিশ্চিহ্নের সম্মুখীন হচ্ছে। এ ব্যাপারে জাতিসংঘের সাস্মানিক রাষ্ট্রদূত চু চে ছিন বেশ দুঃখ প্রকাশ করেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
"আমরা কীভাবে সংস্কৃতির স্ববৈশিষ্ট বজায় রাখবো?এটি আমার ও অন্যদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় এবং খুবই জরুরি বিষয় বলে মনে করি। কারণ এ সব সংস্কৃতির প্রতি হয়তো আমরা মানবজাতির গুরত্ব আরোপ না করায় হারাতে বসছে।"
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |