|
এবারের শাং হাই বিশ্বমেলায় প্রদর্শিত এ 'মু থিং ম সিং' হচ্ছে ৫০১ নম্বর আস্তানাকু কবরের । এর উচ্চতা ২০.৮ সেন্টিমিটার। বাইরের দিক থেকে দেখতে একেবারে বিশ্বমেলায় চীন ভবনের মত প্রায় অনুরূপ । তবে চীন ভবনের আয়তন প্রায় আড়াইটা ফুটবল স্টেডিয়ামের সমান। এ দু'টি শিল্প কর্মের মধ্যে হাজারেরও বেশি বছরের ব্যবধান রয়েছে। তবে এর মধ্য দিয়ে চীনের স্থাপত্য সংস্কৃতির উত্তরাধিকারের বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। এ সম্পর্কে সিন চিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের যাদুঘরের মহাপরিচালক হৌ শি সিন বলেন:
"এক হাজারেরও বেশি বছর আগে থাং রাজবংশের পুরাকীর্তি বিশ্বমেলায় চীন ভবনের মতো দেখতে একই রকম বলে সবাই অবাক হয়ে এর সামনে দাঁড়ায়। আসলে এর মধ্য দিয়ে পুরোপুরিভাবে স্পষ্ট যে, হান জাতির সংস্কৃতি এক হাজারেরও বেশি বছর আগে সিন চিয়াং অঞ্চলে প্রচালিত ছিল এবং সিন চিয়াংয়ের বিভিন্ন জাতির কাছে তা গ্রহণযোগ্য বলে মনে করা হয়।"
বিশ্বমেলায় প্রদর্শিত আরেকটি সিন চিয়াংয়ের পুরাকীর্তি হচ্ছে "তা মা ছিউ ইয়ুং"। অর্থাত্ ঘোড়ার ফুটবল খেলা। সিন চিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের যাদুঘরের গবেষক ওয়াং বো আমাদের সংবাদদাতাকে বলেন, এবারের বিশ্ব মেলায় প্রদর্শতি "তা মা ছিউ ইয়ুং" পুরাকীর্তি হচ্ছে আস্তানাকু ২৩০ নম্বর কবরের ।
ইতিহাসগ্রন্থ সূত্রে জানা গেছে, চীনের থাং রাজবংশের শুরুর দিকে সারা দেশে ঘোড়ার সংখ্যা ছিল ৭ লাখেরও বেশি । সে সময় ঘোড়াকে একটি দেশের বহুমুখী রাষ্ট্রীয় শক্তি পরীক্ষার সার্বিক লক্ষ্য বলে মনে করা হতো। এতে স্পষ্ট যে, সে সময় থাং রাজবংশের সার্বিক রাষ্ট্রীয় শক্তি কত প্রবল ছিল । এটিও ফুটবল খেলার উন্নয়নে একটি উপযুক্ত ভিত্তি সৃষ্টি করেছে।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |