|
"পশ্চিমা দেশগুলোতে সবসময় এমন ধরণের একটি আলোচনা রয়েছে। তা হলো অন্য দেশের জন্য চীন হুমকি ও সুযোগ সৃষ্টি করেছে? আমি মনে করি, চীন সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এ সুযোগ দু'পক্ষের কল্যাণ সৃষ্টি করতে পারে। চীন ও আসিয়ানের বিভিন্ন দেশ উভয়েই এতে উপকৃত হবে। এটি হচ্ছে পরস্পরের কল্যাণ। সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের পর চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি খুবই দ্রুত । চীন সরকারের বাস্তবায়িত অর্থনৈতিক উন্নয়নের নীতিগুলো কেবল যে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সহায়ক হয়েছে তা নয়, তা অন্যান্য দেশগুলোর জন্যও উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। যেমন চীন-আসিয়ান অবাধ বাণিজ্য এলাকা"।
এ বছরের ১ জানুয়ারি চীন-আসিয়ান অবাধ বাণিজ্য এলাকা আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়। চীন ও মালয়েশিয়ার মধ্যে ৯০ শতাংশ পণ্যদ্রব্যের আমদানি ও রপ্তানির শুল্ক কমিয়ে আনা হয়েছে শূন্যতে। এটি দু'পক্ষের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পুঁজি বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সেবা চালানোর জন্য একটি উপযুক্ত সুযোগ সৃষ্টি করেছে। অধ্যাপক রহমান বলেন, চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠান মালয়েশিয়ায় এসে পুঁজি বিনিয়োগ করাকে স্বাগত জানায় মালয়েশিয়া। বর্তমানে চীনের ঐতিহ্যবাহী চীনা ঔষধ ও খাদ্য মালয়েশিয়ার বেশির ভাগ অধিবাসীর প্রশংসা পেয়েছে।
সাক্ষাত্কারে তিনি আমাদের সংবাদদাতাকে বলেন, অব্যাহতভাবে আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা জোরদার ও উন্নয়ন ছাড়া, চীন ও আসিয়ানের উচিত শিক্ষা ও শিক্ষাগত বিনিময় ক্ষেত্রের সহযোগিতা জোরদার করা। তিনি মনে করেন, দু'পক্ষের সহযোগিতার ক্ষেত্র বিশাল। এর মধ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রের ব্যাপক সুপ্ত শক্তি রয়েছে। শিক্ষাকে ভবিষ্যতের প্রতীক বলে মনে করা হয়। শিক্ষাগত বিনিময় ও পন্ডিতগণদের পারস্পরিক সফর দু'পক্ষের দীর্ঘকালের উন্নয়নের জন্য সহায়ক হবে। ----ওয়াং হাইমান
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |