|
বন্ধুরা, ২০১০ সালের ৮ আগস্ট হচ্ছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয় লীগ প্রতিষ্ঠার ৪৩তম বার্ষিকী। এ উপলক্ষে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের সংবাদদাতা চাং সিয়ান মালয়েশিয়ার কেবাংসান বিশ্ববিদ্যালয়ের মালয়েশিয়া ও আন্তর্জাতিক সমস্যা গবেষণা কলেজের অধ্যাপক আবদুল রহমানের এক বিশেষ সাক্ষাত্কার নিয়েছেন। সাক্ষাত্কারে অধ্যাপক রহমান বলেন, ভবিষ্যত উন্নয়নের লক্ষ্যে আসিয়ানের উচিত দীর্ঘকালের দিকে দৃষ্টি রেখে চীনের সঙ্গে অব্যাহতভাবে দু'পক্ষের পারস্পরিক কল্যাণকর সহযোগিতা জোরদার করা। বন্ধুরা, আজকের 'সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব' অনুষ্ঠানে আমরা অধ্যাপক আবদুল রহমানের কথা আপনাদের শোনাবো।
১৯৬৭ সালের ৮ আগস্ট মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়াসহ পাঁচটি দেশের সমন্বয়ে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে 'ব্যাংকক প্রস্তাব'-এর মধ্য দিয়ে আসিয়ানকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৮৪ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত ব্রুনেই, ভিয়েতনাম, মিয়ানমার, লাওস ও কম্পুচিয়া পর্যায়ক্রমে আসিয়ানে যোগ দেয়। ৪৩ বছর ধরে আসিয়ান অবিরামভাবে বেড়ে ওঠেছে যা ইতোমধ্যেই এশিয়া অঞ্চলে এক অনন্য শক্তিতে পরিণত হয়েছে বলে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক , রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আসিয়ানের উন্নয়ন প্রক্রিয়া স্মরণ করে অধ্যাপক রহমান বলেন, আসিয়ানের আজ এ স্থানে সহজেই আসতে পারে নি। তবে আসিয়ানের উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যাবে না। এর উচিত অব্যাহতভাবে সহযোগিতাকে গভীর করে শেষ পর্যন্ত আসিয়ানের কমিউনিটি গড়ে তোলার লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
"আসিয়ানের বিভিন্ন সদস্য দেশের মৈত্রী তাদের রাজনৈতিক ও চেতনার পার্থক্যকে ছাড়িয়ে যায়। এটি পূর্ব এশিয়ার সকল জনগণের আনন্দের সাথে দেখার একটি ব্যাপার বলে মনে করা হয়। আসিয়ানের ভবিষ্যত হচ্ছে আসিয়ানের কমিউনিটি গড়ে তোলা। এর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা ও সামাজিক সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিষয়। তাহলে আসিয়ানের কমিউনিটি বাস্তবায়নের ভারসাম্যের দিকটি কি? আমি মনে করি, এ বিষয়টি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আসিয়ানের বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দের আলোচ্য কর্মসূচীতে অন্তর্ভূক্ত করা হবে।
বিংশ শতাব্দীর ৯০ দশকের শুরুর দিকে আসিয়ান সবার আগে আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রক্রিয়া চালু করে পর্যায়ক্রমে আসিয়ানকে একটি কেন্দ্র হিসেবে ধারাবাহিক আঞ্চলিক সহযোগিতা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। ২০০৩ সালে আসিয়ানের সঙ্গে চীনের কৌশলগত সহযোগিতার অংশীদারি সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। চীন হচ্ছে প্রথমে "দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা চুক্তির" ভেতরে যোগ দেয়া আসিয়ানের বাইরের দেশ। অধ্যাপক আবদুল রহমান বলেন, ইতিহাসে চীন ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ বিনিময় রয়েছে। দু'পক্ষের মৈত্রীর সম্পর্ক সুদীর্ঘকালৈর। এক সময় এ ক্ষেত্রে মত বিরোধ থাকলেও বর্তমানে দু'পক্ষের দৃষ্টি বর্তমান ও ভবিষ্যতের দিকে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |