|
তাই ইয়ান আরো বলেন, কেবল যে চীন আফ্রিকাকে সহায়তা দিয়েছে তা নয়, অন্যান্য দেশ বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোও আফ্রিকাকে সহায়তা দিয়েছে। তবে আফ্রিকার জনগণ চীনের সহায়তাকে বেশি গ্রহণ করতে আগ্রহী। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
" আফ্রিকার সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়তা ছাড়াও আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যসহ পুঁজি বিনিয়োগও করা হয়েছে। আমাদের অর্থনৈতিক সহযোগিতা হচ্ছে পারস্পরিক কল্যাণকর এবং সমতা ভিত্তিক সহযোগিতা"।
তাই ইয়ান বলেন, অতীতকালে চীন ও আফ্রিকার উভয় কঠিন অবস্থা সম্মুখীন ছিল। বর্তমানে দু'পক্ষ আরও অভিন্ন দায়িত্বের সম্মুখীন হচ্ছে। আগে চীন ও আফ্রিকা উভয় পশ্চিমা ঔপনিবেশিক শাসনের শিকার ছিল। বর্তমানে দু'পক্ষের অভিন্ন কর্তব্য হচ্ছে উন্নয়ন করা। সুতরাং, চীন ও আফ্রিকার মধ্যেকার একই ধরণের মনোভাব পশ্চিমা দেশগুলোর নেই। তাছাড়া, আফ্রিকাকে সহায়তা প্রদানকালে চীনারা আফ্রিকার জনগণকে খুবই সম্মান করেন। সে জন্য , চীনাদের সাথে খুব কাছাকাছি থেকে মিলে মিশে থাকতে পারবেন বলে আফ্রিকার জনগণ মনে করেন। ভবিষ্যতে আফ্রিকার প্রতি চীনের সহায়তার কাজের প্রস্তাব দেয়া সম্পর্কিত আলোচনায় তাই ইয়ান বলেন:
" আমাদের দেশের নীতি খুব স্পষ্ট আমি। আশা করি, ইউনিট, সহায়তা গ্রুপ এবং আফ্রিকায় যাওয়া প্রবাসী চীনা ও চীনা বংশোদ্ভূতসহ প্রত্যেকের নিজেকে কঠোর ব্যবস্থার ভেতর রেখে কাজ করবেন। কোন সমস্যা হলে আফ্রিকার জনগণের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণভাবে নির্দিষ্ট সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত।
ভবিষ্যতে চীন ও আফ্রিকার মধ্যে আরো বেশি সহযোগিতার প্রতিক্ষায় আছেন তাই ইয়ান। তিনি মনে করেন, আর্থ-বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে দু'পক্ষের সহযোগিতার ভবিষ্যত সম্ভাবনা বিস্তীর্ণ হবে।---ওয়াং হাইমান
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |