|
ইতিমধ্যে ইনশু থেকে এক লক্ষ ষাট হাজার কচ্ছপের খোল পাওয়া গেছে। এগুলের মধ্যে কোনো কোনো খোল অক্ষত অবস্থায় রয়েছে ,তবে কোনো কোনো খোলের উপরে কোনো শব্দ খোদাই করা হয় নি ।একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী আবিস্কৃত কচ্ছপের খোলগুলোর উপরে চার হাজারেরও বেশী শব্দখোদাই করা হয়েছে ।চীনের পন্ডিতরা প্রায় তিন হাজার শব্দ নিয়ে গবেষণা করেছেন এবং এক হাজারেরও বেশী শব্দের অর্থ বুঝতে পেরেছেন ।বাকী শব্দগুলোর অর্থ হয় বোধগম্য নয় ,নয় এদের অর্থ নিয়ে পন্ডিতদেরমধ্যে বিরাট মতপার্থক্য আছে । তা সত্বেও এই এক হাজারেরও বেশী শব্দের অর্থ বুঝলে সাং রাজত্বকালের রাজনীতি ,অর্থনীতি , সংস্কৃতি ইত্যাদি ক্ষেত্রের অবস্থা মোটামুটি জানা যায় । কচ্ছপের খোলগুলোর উপরে খোদিত শব্দ সম্বন্ধে পন্ডিত লিউ এ থিয়ে ইয়ুন জান গুই নামে চীনের প্রথম গবেষণা-গ্রন্থ প্রকাশ করেন ১৯১৩ সালে । চীনের বিখ্যাত ইতিহাসবিদ ও সাহিত্যিক কু মো রো ১৯২৯ সালে কচ্ছপের খোলগুলোর উপরে খোদিত শব্দের গবেষনা নামে যে পুস্তক প্রকাশ করেন, তা চীনের আরেকটি গুরুত্বপুর্ণ গবেষণা-গ্রন্থ। বর্তমানে কচ্ছপের খোলগুলোর উপরে খোদিত শব্দের গবেষনার ক্ষেত্রে সর্বজনস্বীকৃত দুজন প্রতিষ্ঠিত পন্ডিত হচ্ছেন পেইচিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিউ সি গুই ও চীনের ইতিহাস গবেষণাগারের অধ্যাপক লি সিয়ে জিন ।
কচ্ছপের খোলগুলোর উপরে খোদিত শব্দের মত তামার বাসনও সাং রাজত্বকালের প্রতিনিধিত্বকারী জিনিস ।তখনকার তামার বাসন তৈরীর প্রযুক্তি বেশ উন্নত ছিল । ইনশু থেকে যে কয়েক হাজার তামার জিনিস আবিস্কৃত হয়েছে । সেগুলোর মধ্যে ১৯৩৯ সালে আবিস্কৃত দু' কর্ণ আর তিন পদ বিশিষ্ট রন্ধনপাত্রটি চীনের প্রাচীন তামার জিনিস বিষয়ক সংস্কৃতির শীর্ষযুগের অন্যতম প্রতিনিধিত্বকারী কীর্তি । রন্ধনপাত্রটি ১৩৩ সেন্টিমিটার উঁচু ,১১০ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ৭৮ সেন্টিমিটার চওড়া। এর ওজন ৮৭৫ কিলোগ্রাম ।
প্রত্নতাত্তিক খননকাজ ও গবেষণা থেকে প্রমান পাওয়া গেছে যে , সাং রাজত্বকালে রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে এবং ব্যক্তিগত মালিকানাও প্রবর্তিত হয়েছে । তখন থেকে চীন ঐতিহাসিক সভ্যতার যুগে প্রবেশ করে ।
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |