|
বন্ধুরা, ২০১০ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে ক'দিন আগে পর্তুগাল ও উত্তর কোরিয়ার ম্যাচটি আপনারা দেখেছেন কি? নিশ্চয়ই দেখেছেন আপনারা। তবে একটি বিষয় হয়তো আপনারা খেয়াল করেননি। তাহলো পর্তুগীজ ফুটবল দলের সদস্যদের বাহুতে কালো ব্যাজ ধারণ করে বাইরে আসা। তারা কেন এমনটি করলেন? তারা সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী পর্তুগীজ হোসে সারামাগোর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এটি করেন। বন্ধুরা, আজকের "সাংস্কৃতিক ঘটনা" অনুষ্ঠানে আমরা এ বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো।
১৯২২ সালে হোসে সারামাগো পর্তুগালের লিসবনের একটি সাধারণ কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বিভিন্ন ধরণের কাজ করে গেছেন তিনি। তিনি ছিলেন মেরামতকর্মী থেকে শুরু করে সংবাদ সংস্থার সম্পাদক। এসব অভিজ্ঞতার কারণে তাঁকে পর্তুগালের জাতীয় সম্পদ পর্যায়ের একজন মানুষ বলে অভিহিত করা হয়। সাহিত্য ক্ষেত্রে তিনি পর্তুগালের ইতিহাসে একমাত্র নোবেল বিজয়ী।
সম্প্রতি এ বিখ্যাত সাহিত্যিক মারা গেছেন। তবে তাঁকে নিয়ে আলোচনা শেষ হয়ে যায়নি। অনেকেই তাঁর সমালোচনা করেন আবার অনেকেই প্রশংসা করেন। তাঁর সব সাহিত্যকর্মের মধ্যে 'মেমোরিয়াল দ্য কনভেন্টো' ও 'এনসাইও সবার অ্যা চেগুরিয়া" সারামাগোকে চীনা অনুরাগীদের মনে প্রগাঢ় ছাপ ফেলেছে। এ দু'টি সাহিত্যকর্ম হচ্ছে সারামাগো'র সব সাহিত্যকর্মের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত এবং প্রতিনিধিত্বশীল কর্ম। চীনা ভাষায় এ দু'টি সাহিত্যকর্মের অনুবাদ করেন ফান ওয়েই সিন। তিনি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের একজন প্রাক্তন অধ্যাপক। তিনি বেশ কিছু পর্তুগীজ সাহিত্যকর্মের অনুবাদ করেছিলেন। সারামাগোকে নিয়ে আলোচনায় ফান ওয়েই সিন বলেন:
"তাঁর সাহিত্যকর্ম খুব সহজেই অনুবাদ করতে পারিনি। তাই তাঁর ব্যাপারে আমার প্রথম ধারণা হল তাঁর সাহিত্যকর্মের পদ্ধতি খুব শক্তিশালী নয়। 'মেমোরিয়াল দ্য কনভেন্টো' অনুবাদের সময় আমার অনেক কষ্ট হয়। অনেক জিনিস প্রাথমিকভাবে বুঝতে পারতাম না।"
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |