Web bengali.cri.cn   
উজবেকিস্তানে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়ু হুং চুনের বিশেষ সাক্ষাত্
  2010-07-14 20:39:24  cri

আর্থ-বাণিজ্যিক এবং মানবিক ক্ষেত্রে দু'দেশের বিনিময় ও সহযোগিতা সম্পর্কিত আলোচনায় রাষ্ট্রদূত ইয়ু হুং চুন বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও উজবেকিস্তানের আর্থ-বাণিজ্যিক সম্পর্কের লক্ষণীয় উন্নতি হয়েছে। চীনা পক্ষের একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ২০০৯ সালে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মোট পরিমাণ দাঁড়ায় ১.৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে, যা ২০০৮ সালের একই সময়ের তুলনায় ১৮.৯ শতাংশ বেশি। চীন ইতোমধ্যেই উজবেকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারে পরিণত হয়েছে। দু'দেশ জ্বালানি সম্পদ এবং অবকাঠামো ব্যবস্থা ক্ষেত্রে সহযোগিতার এক নতুন পথে এগুচ্ছে। চীন-মধ্য এশিয়া প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনের উজবেকিস্তান অংশের নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যেই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন ও সময়মতো চালু হয়েছে।

দু'দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের অব্যাহত উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দু'পক্ষ মানবিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রের সহযোগিতাও জোরদার করেছে। এর মধ্যে এক উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে উজবেকিস্তানে চীনা ভাষা শেখার ব্যাপারে আগ্রহ বৃদ্ধি। বর্তমানে উজবেকিস্তানের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যালয়ে চীনা ভাষা শিক্ষা চালু হয়েছে। সেদেশে চীনা ভাষা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ হাজারেরও বেশি। দেশটিতে চীনা শিক্ষকের সংখ্যা ও দু'পক্ষের ছাত্র-ছাত্রী বিনিময়ও ধাপে ধাপে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০০৪ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও উজবেকিস্তান সফরকালে প্রতিষ্ঠিত তাসখন্দ কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউট ইতোমধ্যেই চীনা সংস্কৃতি প্রচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। উজবেকিস্তান ও উজবেকদের কেমন লাগছে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত ইয়ু হুং চুন বলেন:

"উজবেকরা খুবই পরিশ্রমী, অতিথিপরায়ণ ও শান্তিরপ্রিয়। এটি আমার মনে দৃঢ় ছাপ ফেলেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রেসিডেন্ট ইসলাম কারিমভের নেতৃত্বে উজবেকিস্তান বিভিন্ন ক্ষেত্রের সংস্কার ত্বরান্বিত করতে, অর্থনৈতিক অবকাঠামো অব্যাহতভাবে সমন্বয়ে, সামাজিক নিরাপত্তা জোরদারে এবং দেশটির অবস্থার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এক উন্নয়ন পথ অনুসন্ধানে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক আর্থিক সংকট অব্যাহত রয়েছে। উজবেকিস্তান সরকার পুঁজি বিনিয়োগ বাড়ানো, রপ্তানিকে চাংগা করা, অভ্যন্তরীণ চাহিদার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ এবং আরো অধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করাসহ আর্থিক সংকটের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক কর্মসূচী গ্রহণ করেছে বলে উজবেকিস্তানের অর্থনীতি ও সামাজিক জীবনে আর্থিক সংকটের প্রভাব অনেক কম পড়েছে। ২০০৯ সালে জিডিপি'র প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮.১ শতাংশ।"

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও উজবেকিস্তানের সম্পর্ক জোরদার হয়ে উঠেছে বলে বিভিন্ন ক্ষেত্রের সহযোগিতাও ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, দু'দেশের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের যৌথ প্রচেষ্টায় চীন ও উজবেকিস্তানের ঐতিহ্যবাহী মৈত্রী আরো বেশি সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবে।---ওয়াং হাইমান


1 2
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040