|
বন্ধুরা, চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও ৯ থেকে ১১ জুন উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে অনুষ্ঠিত শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ নেতৃবৃন্দ পরিষদের দশম অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন। এটি ছিল চীন ও উজবেকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি বড় ঘটনা। এটিকে শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার জন্যও একটি বড় ঘটনা বলে মনে করা হয়। সম্প্রতি তাসখন্দে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের নিজস্ব সংবাদদাতারা উজবেকিস্তানে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়ু হুং চুনের সাক্ষাত্কার নিয়েছেন। আচ্ছা বন্ধুরা, আজকের "সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব" অনুষ্ঠানে আমরা এ বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো।
উজবেকিস্তানে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়ু হুং চুন দূতাবাসে সি আরআই সংবাদদাতাদের সাক্ষাত্কার দেন। এবার শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলন সংস্থার পরবর্তী উন্নয়নের ওপর কী প্রভাব ফেলবে এ সম্পর্কিত আলোচনায় রাষ্ট্রদূত ইয়ু হুং চুন বলেন:
"এবারের তাসখন্দ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন সদস্য দেশের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ২০০৯ সালের ইয়েকেতেরিনবার্গ শীর্ষ সম্মেলনে পৌঁছানো মতৈক্য বাস্তবায়নের অবস্থা পর্যালোচনা করেন এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পরিস্থিতির প্রবণতা, মধ্য এশীয় অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার অভ্যন্তরীণ সমন্বয় ও যৌথ উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গভীরভাবে মতবিনিময় করেন। এটা এ সংস্থার পরবর্তী উদ্যোগ নেয়ার ক্ষেত্রে দিকনির্দেশকের ভূমিকা পালন করবে"।
রাষ্ট্রদূত ইয়ু হুং চুন বলেন, আন্তর্জাতিক আর্থিক সংকটের কিছুটা প্রভাব এখনও অব্যাহত থাকার এবং অনেক আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সমস্যা বিরাজ করার প্রেক্ষাপটে এবারের তাসখন্দ শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়, সমন্বয় জোরদার, বিভিন্ন সদস্য দেশের মৌলিক স্বার্থ কার্যকরভাবে সংরক্ষণ, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত এবং আঞ্চলিক সম্প্রীতিময় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে।
প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও'র এবার উজবেকিস্তান সফর সম্পর্কিত আলোচনায় রাষ্ট্রদূত ইয়ু হুং চুন বলেন:
"সফরকালে প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইসলাম কারিমভের সঙ্গে চীন ও উজবেকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার উন্নয়ন এবং অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে গভীরভাবে মতবিনিময় করেন। একই সঙ্গে দু'পক্ষের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোও ধারাবাহিক সহযোগিতামূলক চুক্তি স্বাক্ষর করে। চীন ও উজবেকিস্তান উভয়েই প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও'র এবার উজবেকিস্তান সফরের ওপর বেশ গুরুত্ব আরোপ করে। আমরা বিশ্বাস করি, প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও'র সফর দু'দেশের সম্পর্কের পরবর্তী উন্নয়নে দিকনির্দেশনা দিতে পারে। এটি চীন ও উজবেকিস্তানের বিভিন্ন বিষয়ে বাস্তব সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন শক্তি সঞ্চার করবে এবং শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার উন্নয়নের নতুন সুযোগও সৃষ্টি করবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্যও এ সফর সহায়ক হবে"।
জানা গেছে, রাষ্ট্রদূত ইয়ু হুং চুন ইতোমধ্যেই উজবেকিস্তানে পাঁচ বছর কাজ করেছেন। তাঁকে চীন ও উজবেকিস্তানের সম্পর্কের ধারাবাহিক ঘটনাপ্রবাহের একজন অংশগ্রহণকারী এবং প্রত্যক্ষদর্শী বলে মনে করা হয়। চীন ও উজবেকিস্তানের চলমান অবস্থা এবং ভবিষ্যত্ উন্নয়ন সম্ভাবনা সম্পর্কিত আলোচনায় রাষ্ট্রদূত ইয়ু হুং চুন বলেন:
"চীন ও উজবেকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ১৮ বছরে দু'দেশের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের যোগাযোগ খুবই ঘনিষ্ঠ ছিল বলে এ পর্যন্ত মোট পাঁচবার পারস্পরিক সফর হয়েছে। তাছাড়া, দু'দেশের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের সুযোগে যোগাযোগ, তথ্য ও মতামত বিনিময় বজায় রেখেছেন। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দু'পক্ষের পারস্পরিক আস্থা অব্যাহতভাবে জোরদার হয়েছে। বিশেষ করে ২০০৫ সালে দু'দেশের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের স্বাক্ষরিত "চীন-উজবেকিস্তান বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের সম্পর্ক চুক্তি" দেশ দুটির সম্পর্ককে একটি নতুন উন্নয়নের পর্যায়ে নিয়ে এসেছে"।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |