|
বৃহততম ছিং সাম্রাজ্যের আয়তন ছিল এক কোটি বিশ লক্ষ বর্গকিলোমিটার।১৬১৬ সালে নুরহাচি হৌজিন রাজবংশ স্থাপন করেন ।১৬৩৬ সালে হুয়াং থাই জি রাজবংশের নতুন নাম ছিং ঘোষনা করেন ।১৬৪৪ সালে লি জি জেংয়ের নেতৃত্বে কৃষক বাহিনী মিং রাজবংশের শাসন উত্খাত করে ।সম্রাট ছুনজেন চরম হতাশায় আত্মহত্যা করেন ।ছিং রাজবংশের বাহিনী সেই সুযোগে মহাপ্রাচীরের শানহাইকুয়ান সিংদ্বার পার হয়ে চীনের মুলভুভাগে প্রবেশ করে কৃষক বাহিনীকে পরাজিত করে ।পেইচিং হল ছিং রাজবংশের রাজধানী ।ছিং রাজদরবার পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন স্থানের কৃষক বিদ্রোহ ও দক্ষিণ চীনে মিং রাজবংশের ছিং রাজবংশ বিরোধী বাহিনীকে নির্মুল করে ধাপে ধাপে চীনকে একীভূত করে ।
ছিং রাজত্বকালের প্রারম্ভে শ্রেণীদ্বন্দ্ব প্রশমনের জন্য পতিত জমিতে চাষাবাদকে উত্সাহ দেয়া আর রাজকর কমানো বা মওকুফ করার নীতি কার্যকরী করা হয় । ফলে মূল ভুভাগ ও সীমান্ত অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নতি সাধিত হয়। অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে সামন্ততান্ত্রিক অথনীতির উন্নয়ন শীর্ষ শিখরে আরোহন করে ,চীনের ইতিহাসে এটা খাংসি-ইয়ংজেন-ছিয়ানলং সমৃদ্ধিশালি যুগ বলে পরিচিত ।তখন কেন্দ্রীয় একনায়কত্ব বেশ মজবুত ,সমাজ স্থিতিশীল এবং রাষ্ট্র শক্তিশালী । অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে চীনের লোকসংখ্যা প্রায় ৩০কোটিতে পৌঁছে ।
১৬৬১সালে জেন ছেং গংয়ের নেতৃত্বে চীনের নৌ-বাহিনী তাইওয়ান প্রণালী অতিক্রম করে ৩৮ বছর ধরে তাইওয়ান দখলে রাখা ডাচ-উপনিবেশবাদীদের পরাজিত করে ।পরের বছরের প্রথম দিকে ডাচ-উপনিবেশবাদীরা আত্মসমর্পন করে এবং তাইওয়ান চীনের কোলে ফিরে আসে ।
ষোড়শ শতাব্দীর শেষভাগে রাশিয়া পুর্বদিকে সম্প্রসারনের উদ্যোগ নেয়।ছিং রাজবংশের বাহিনী যখন মহাপ্রাচীরের শানহাইকুয়ান সিংহদ্বার দিয়ে চীনের মুলভুভাগে প্রবেশ করে তখন রাশিয়া সেই সুযোগে জোরপুর্বক ইয়াকেসা、নিপুছু ইত্যাদি স্থান দখল করে । ছিং রাজকীয় সরকার অনেকবার রাশিয়া সরকারের কাছে চীনের ভুখন্ড থেকে তার সৈন্যবাহিনী প্রত্যাহারের দাবী জানায় ।১৬৮৫ সাল ও ১৬৮৬ সালে সম্রাট খাং সি দুবার ইয়াকেসায় মোতায়েন রুশ বাহিনীর উপরে আক্রমন চালাতে ছিং রাজকীয় বাহিনীকে আদেশ দেন ।রুশ বাহিনী বাধ্য হয়ে আলোচনার মাধ্যমে দুদেশের পুর্বদিকের সীমান্ত সমস্যার সমাধান করতে রাজী হয়। ১৬৮৯ সালে দুপক্ষের প্রতিনিধিরা নিপুছু বৈঠকে বসে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম সীমান্ত চুক্তি--নিপুছু চুক্তি স্বাক্ষর করেন ।
সম্রাট ছিয়ানলংয়ের শাসনকালের মধ্যভাগে জুন কের উপজাতির বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি ও হুই জাতির বৃহত আর ক্ষুদ্র হোজুর বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির অভ্যুত্থান দমন করে সিংজিয়াংকে একীভুত করা হয় এবং সীমান্ত অঞ্চলের অর্থনীতি ,সংস্কৃতি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি সাধনের অনেকগুলো নীতি প্রনয়ণ করা হয় ।
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |