|
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের এক বিশেষ প্রদর্শনী হিসেবে 'পেইচিং থেকে শারম আল-শেখ -- চীন ও আফ্রিকার সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সহযোগিতার সাফল্য" শীর্ষক প্রদর্শনীতে সংস্কৃতি, বেতার, সংবাদ প্রকাশনা, ক্রীড়া এবং পুরাকীর্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রায় তিন বছরের সাফল্য প্রদর্শিত করা হয়। এতে অনেক দর্শক আকর্ষিত হন। আফ্রিকায় ১০ বছর কাজ করে আসা থাং হুয়াই কুয়াং হচ্ছেন এমন একজন দর্শক। তিনি বলেন:
"যেমন ভাবা তেমন কাজ। এবারের প্রদর্শনী দেখার পর আমি তাঞ্জানিয়া ও সুদানে কাজ করার সময়কার অবস্থা স্মরণ করেছি। এবারের প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে মানবিক বিষয় প্রতিফলিত হয়েছে। আফ্রিকার সঙ্গে চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে অনেক চীনা আস্তে আস্তে আফ্রিকার সংস্কৃতির অনুরাগী হচ্ছেন।"
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও আফ্রিকার সাংস্কৃতিক উন্নয়ন জোরদার হয়ে উঠেছে। ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত, চীনে ২০টি প্রদেশ ও শহরের পরিবেশন শিল্পী দলের ৭ শ'রও বেশি অভিনেতা-অভিনেত্রী আফ্রিকায় পরিবেশনায় অংশ নেন।
২০০৯ সালে আফ্রিকায় 'চীনা সংস্কৃতির ওপর আলোকপাত' কার্যক্রম আয়োজন করা হয়। চীনা সংস্কৃতি আফ্রিকার ২০টি দেশে চলে যায়। আফ্রিকায় চীনা ভাষা শেখা ও চীনা সংস্কৃতি জানার উত্সাহ অব্যাহতভাবে বাড়ছে। 'চীনা সংস্কৃতির ওপর আলোকপাত' কার্যক্রম আয়োজনের কারণে মরক্কোর অধিবাসীরা চীনা সংস্কৃতির প্রতি বেশ আকর্ষিত হন। চীনে মরক্কোর রাষ্ট্রদূত বলেন:
"মরক্কোয় চীনা চা আছে। মরক্কো হচ্ছে চীনা চায়ের সবচেয়ে আমদানিকারী দেশ। চা খাওয়ার এ ঐতিহ্য চীনাদের কাছ থেকে শেখা।"
আগামী ৬ মাসে 'আফ্রিকার সংস্কৃতির ওপর আলোকপাত-২০১০' শীর্ষক ধারাবাহিক কার্যক্রম চীনের পেইচিং, শেন চেন, ছিং তাও ও সি নিংসহ ৬টি শহরে পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত হবে। এর কল্যাণে চীন ও আফ্রিকার ঐতিহ্যবাহী মৈত্রীও জোরদার করা হবে।– ওয়াং হাইমান
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |