|
বিশ্বমেলা বাগান প্রবাসী চীনা দর্শকদের খুব পছন্দ হয়েছে। তারা হলেন বিদেশি ভবনের সামনে অতিথিদের স্বাগত জানানো কর্মী। এসব কর্মীদের মধ্যে কেউ কেউ প্রথমবারের মত চীনে এসেছেন, কেউ কেউ চীনাদের মতই চীন সম্পর্কে অনেক জানেন। তাদের চেহারা অনেক সুন্দর এবং তারা নিজের দেশের বৈশিষ্টময় পোষাক পরেন। মনের আগ্রহ নিয়ে দর্শকদের সাহায্য করছেন। মাঝে মাঝে তারা দর্শকদের বিদেশি ভাষা শেখান, তাদের সংগে খেলেন ও মাঝে মাঝে নিজ দেশের সংশ্লিষ্ট তথ্য নিয়ে দর্শকদের ছোট পরীক্ষা নেন, যাতে দর্শকদের সঙ্গে ভাব বিনিময় ভালোভাবে জমে ওঠে।
অস্ট্রিয়া ভবনের সামনে একজন সাংবাদিক চীনা ভাষা বলা একটি অস্ট্রিয় মেয়েকে দেখেছেন। তিনি হাসি মুখে দর্শকদের লাইন করে ভবনে ঢোকার জন্য অপেক্ষা করার জন্য সাহায্য করছেন। যেন তার কখনই কোন ক্লান্তি নেই। যখন তার সারা দিনের কাজ শেষ হয়, আমাদের সাংবাদিক তখন তার সাক্ষাত্কার নিয়েছেন। ভেরোনিকা শার্ফ নামের এ মেয়েটি সহকর্মীদের মত অস্ট্রিয়া থেকে চীনে এসেছে এবং ৬ মাসব্যাপী বিশ্বমেলা সেবা কাজের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এসবই তার ছেলেবন্ধুর উত্সাহে। সে বললো:
আমার ছেলেবন্ধু আমাকে বিশ্বমেলায় আসার জন্য উত্সাহ দিয়েছে। সে বলেছে এটি একটি খুব ভালে ও বিরাট সুযোগ। এমন বড় আকারের অনুষ্ঠান কয়েক বছর পর পরই একবার আয়োজন কর হয়। ভবিষ্যতের জন্য এমন অভিজ্ঞতা অর্জন করা অনেক মূল্যবান।
ভেরোনিকা বলেন, আইসল্যান্ডের আগ্নেয়গীরির অগ্নুত্পাতের কারণে তারা নির্ধারিত সময়ের চেয়ে একটু দেরিতে চীনে এসেছে। তাই নতুন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর আগেই সরাসরি বিশ্বমেলার পরীক্ষামূলক পরিচালনা কাজে যোগ দিয়েছে। এখন বিশ্বমেলার পরিচালনার কাজ স্বাভাবিক হয়েছে। তবে দর্শকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তাই তাদের কাজে অনেক বেশি ব্যস্ততা। যদিও অনেক ক্লান্তি, তবে তিনি দর্শকের হাসি মুখ দেখে সে অনেক খুশি। এ ছাড়া তারা পরিচালনার প্রস্তাবগুলো সমন্বয় করছেন, যাতে দর্শকদের লাইন করে অপেক্ষা করার সময় অনেকটা কমিয়ে আনা যায়। সে বলেছে....
বিশ্বমেলা শেষে আমরা নিজের দেশে ফিরে যাবো। আমরা একটু দেরিতে বিশ্বমেলা উদ্যানে এসেছি। ইউরোপের এয়ারলাইন্সের কারণে আমাদের দেরি হয়েছে। এখন একটু ব্যস্ত, পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর সময় নেই। প্রতিদিন প্রায় ৭ ঘন্টা ধরে কাজ করতে হয়। এ ৭ ঘন্টার মধ্যে শুধু এক ঘন্টার সময় নিয়ে কিছু খেতে এবং কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে পারি। কারণ এখন সেবা কাজের চাপ অনেক বেশি, তাই এমন অবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছি এখন। এ ছাড়া এখন দর্শকের সংখ্যাও অনেক বেশি, তাই এমন অবস্থার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য আমাদের আরো কয়েক সপ্তাহ সময় দরকার। আমি প্রধানত দর্শকদের অস্ট্রিয়া ভবনে লাইন করে ঢোকার কাজে সাহায্য করি এবং দর্শকদের স্বাগত জানাই। দর্শকদের আরো সুবিধা প্রদানের জন্য আমরা তাদের অপেক্ষার সময় কমানোর জন্য চেষ্টা করছি।
ভেরোনিকা অস্ট্রিয়ায় বিশেষ চীনা ভাষা শেখা বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। তিনি চীনের চে চিয়াং প্রদেশের হাং চৌ বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছর চীনা ভাষাও শিখেছেন। ভেরোনিকা চীনের প্রাচীনকালের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে অনেক আগ্রহী। এখন তিনি চীনা ভাষায় মাস্টার ডিগ্রী পড়ছেন। তিনি আশা করেন বিশ্বমেলার মাধ্যমে চীনের সঙ্গে তার সম্পর্ক আরো গভীর করতে পারবেন। কারণ, তিনি চীনা ভাষা বলতে পারেন এবং এখানে বেশ কিছুদিন ছিলেন। তাই তিনি বিশ্বমেলায় তার অস্ট্রিয়ার সহকর্মীদের আরো তাড়াতাড়ি চীনের জীবনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো এবং চীনা দর্শকদের জন্য অস্ট্রিয়ার সৌন্দর্যকে তুলে ধরার কাজে সাহায্য করবেন।
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |