আপনি অন্ধ প্রতিবন্ধীদের জীবন অনুভব করতে চাইলে , চোখ বন্ধ করে এ সহায়তা সেবা দেয়া কুকুরের সাথে জীবনের আলো ভবনে চলে আসতে পারেন। এ ছাড়া, প্রতিবন্ধী ভবনে বিভিন্ন উচ্চ বৈজ্ঞানিক সাজ-সরঞ্জামও প্রদর্শিত হচ্ছে। এ সম্পর্কে স্বেচ্ছাসেবক ছেন ওয়ান সিয়া বলেন:

"এ সব উচ্চ বৈজ্ঞানিক সাজ-সরঞ্জামের সাহায্যে প্রতিবন্ধীরা সহজভাবেই লেখাপড়া এবং কাজে অংশ নিতে সক্ষম। যেমন, অন্ধ প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি বিশেষ কম্পিউটার তৈরি করা হয়েছে। তারা স্পর্ষের মাধ্যমে কম্পিউটারের তথ্য জানতে পারেন।"

পেইচিংয়ের অন্ধ ছাত্রী কাও সিন সিন অন্ধ ভাষাপ্রাপ্ত একটি সর্বশেষ মুদ্রণ যন্ত্র ব্যবহারের জন্য চর্চা করছে। তিনি বলেন:

" যদি আপনি অন্ধ ভাষা শিখেন, তাহলে নিশ্চয় বুঝতে পারবেন যে, অন্ধ ভাষা তেমন সহজভাবেই গ্রহণ করতে পারা যায় না। তবে এ নতুন যন্ত্র এ সব সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হয়েছে। এভাবেই কিছু কিছু মূল্যবান তথ্য দীর্ঘকাল সংরক্ষণ করে রাখতে পারবে"।

একজন মার্কিন দর্শক বলেন, এটি হচ্ছে তাঁর জীবনে প্রথমবারের মত প্রতিবন্ধীদের সংশ্লিষ্ট প্রদর্শনী কাছে থেকে নিজের চোখে দেখা। শাংহাই বিশ্বমেলায় এ মহান তত্পরতা দেখে তিনি বেশ মুগ্ধ। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:

" এটি প্রতিবন্ধীদের অন্যান্য যেসব সহায়তা পাওয়া দরকার তা হলো মানুষের জন্য সৃষ্ট একটি মহান ব্যাপার। এর মধ্য দিয়ে সুষ্ঠুভাবে জীবন-যাপনের মূল্যবান মর্মই প্রতিফলিত হয়েছে। আমি মনে করি, সবারই উচিত সবার জীবনের প্রতি যত্ন নেয়া"। ----ওয়াং হাইমান