বন্ধুরা, আপনারা এইমাত্র শুনলেন অস্ট্রিয়ার বিখ্যাত সুরকার জোহান স্ট্রাউসের বিখ্যাত সুর" রাডেস্কি মার্চ"-এর পিয়ানো পরিবেশনার অংশ বিশেষ। পিয়ানো পরিবেশন করছেন চীনের বিখ্যাত অন্ধ পিয়ানো বাদক সুন ইয়ান। বন্ধুরা, এবার শাংহাই বিশ্বমেলায় বিশেষ করে প্রতিবন্ধীদের প্রতি যত্নের প্রতিরূপ হিসেবে প্রধান প্রতিপাদ্য ভবন—" জীবনের আলো ভবন" প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানকার দেশি-বিদেশী দর্শকদের কাছে নিজেদের অসাধারণ নৈপুন্য প্রদর্শন করছেন সুন ইয়ান। বন্ধুরা, আজকের " সাংস্কৃতিক ঘটনা" অনুষ্ঠানে আমরা এ বিষয়টি নিয়েই আলোচনা করবো।
বিশ্বের এক শ'রও বেশি দেশ ও অঞ্চলে পিয়ানো পরিবেশন করলেও শাংহাই বিশ্বমেলার মঞ্চে পরিবেশনার ব্যাপারে সুন ইয়ান অনেক অহংকার বোধ করেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
" এবার পিয়ানো পরিবেশন করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত। কারণ ১ হাজার ২ শ' বর্গমিটার প্রদর্শনী ভবনে আমাকে এতো বড় মঞ্চ প্রদান করে দেশি-বিদেশী দর্শকদের সামনে সরাসরিভাবে পরিবেশন করার সুযোগ দেয়ায় আমি খুবই আনন্দিত। আমার পরিবেশনার মধ্য দিয়ে প্রতিবন্ধীদের চমত্কার ভাবমুর্তি এবং জীবনের আলোর মর্ম প্রতিফলিত হবে বলে আমি আশাবাদী"।
শাংহাই বিশ্বমেলার জীবনের আলো ভবন হচ্ছে বিশ্বমেলা চালু হওয়ার ১৫৯ বছরে প্রথমবারের মত প্রতিষ্ঠিত প্রতিবন্ধী ভবন । এ ভবনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিবন্ধী শিল্পীরা দেশি-বিদেশী দর্শকদের কাছে নিজের নৈপুণ্য প্রদর্শন করেন , তেমনি অনেক প্রতিবন্ধীও স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন। তাদের হাসি, কার্যকলাপ এবং ভাষার মাধ্যমে সবাইকে শাংহাই বিশ্বমেলার তথ্য প্রচার করছে। ইয়ান ছিয়াং হচ্ছেন তাদের মধ্যে অন্যতম একজন অন্ধ প্রতিবন্ধী। তিনি চীনের হুয়া তুং শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র। জীবনের আলো ভবনের একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে তিনি অন্ধদের অনুভূতি জীবনের আলো ভবনে আসা দর্শককে অন্ধ বন্ধুদের অনুভূতি জানাচ্ছেন। এ সম্পর্কে ইয়ান ছিয়াং বলেন:
" সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে অন্ধদের প্রতি সবার মনোভাব এবং চিন্তাধারা আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। সবার সাহায্যের হাতও প্রসারিত হয়েছে। আমিও সমাজের ওপর নির্ভর করি। বিভিন্ন উপায় ও পদ্ধতির মাধ্যমে সবাইকে বলতে চাই যে, আমাদেরও একটি সুন্দর হৃদয় আছে। আমরাও দয়ালু ব্যক্তি হিসেবে কাজ করতে চাই"।
অন্ধদের বন্ধু হিসেবে কুকুরের মাধ্যমে সেবা অনেক অন্ধদের জন্য সহায়ক হয়েছে। জীবনের আলো ভবনে এমন একটি বিশেষ স্বেচ্ছাসেবকদল দেখা যায় । তারা হলো অন্ধদের বন্ধু—সহায়তা সেবা দেয়া কুকুর। বিশেষভাবে একটি কুকুরকে লালন-পালন এবং প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করতে প্রায় দু' বা তিনবছরের মত সময় লাগবে। একজন দর্শক বলেন, সহায়তা সেবা দেয়া কুকুরের সাহায্যে অন্ধ বন্ধুদের বেশ সুবিধা হয়েছে।
1 2
