|
২০০২ সালে " চুও নিউ" নামের উপানাসটি চীনের সাহিত্য জগতে বেশ প্রভাব ফেলেছিল। এ উপন্যাসটির প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্রীই আকৃষ্ট হয়েছিল। এমন কি, এ বইটির প্রধান নারী চরিত্র " চুও এর" মতো তিনি নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য একজন অসাধারণ নারীতে পরিনত হতে চেয়েছিলেন বলে আশাবাদী ছিলেন। এ লেখকটিই হচ্ছেন চীনের বিখ্যাত লেখক চাং খাং খাং। বন্ধুরা, আজকের " সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব" অনুষ্ঠানে আমরা লেখক চাং খাং খাংয়ের বৈচিত্রময় কাহিনী আপনাদের শোনাবো।
গত শতাব্দীর ষাটের দশকে ১১ বছর বয়স্ক চাং খাং খাং প্রথমবারের মত শাংহাই " তরুণ সাহিত্য"নামক সংস্থায় তাঁর প্রথম লেখা প্রকাশ করেন। সেসময় তিনি ভাবতেই পারেন নি যে, ২৯ বছর বয়সী চাং খাং খাং ইতোমধ্যেই চীনা সাহিত্য জগতে একজন উজ্জ্বল স্টারে পরিণত হতে পারেন। ৩৮ বছর বয়সী চাং খাং খাংকে ব্রিটেনের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিখ্যাত ব্যক্তিদের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। ৫৬ বছর বয়সে চাং খাং খাং চীনের জাতীয় লেখক সমিতির ভাইস-চেয়ারম্যান পদের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এমন কি ৫৯ বছর বয়সে চাং খাং খাং চীনের প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় পরিষদের কাউন্সিলার বিভাগের কাউন্সিলার নির্বাচিত হন। এ নারী সত্যি তেমন একজন সহজ নারী নন।
আসলে ১৯ বছর বয়সের আগ পর্যন্ত চাং খাং খাং তাঁর জন্মস্থান—চীনের চে চিয়াং প্রদেশের রাজধানি হাং চৌ শহরে থেকেছেন। পরে তিনি চীনের উত্তরাঞ্চলের হে লুং চিয়াংয়ে যান। ৩০ বছর বয়সের সময় চাং খাং খাং পেইচিংয়ে বসবাস করতে শুরু করেন। হয়তো এ তিনটি স্থানে পৃথক পৃথকভাবে প্রায় ১০ বছর থাকার কারণে তিনি স্থানীয় প্রতিচ্ছবি এবং স্থানীয় অধিবাসীদের রীতি-নীতি সবচে বেশি জানতে সক্ষম হয়েছিলেন। সুতরাং, তাঁর লেখায় চীনের দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলের স্ববৈশিষ্ট্য সব স্পষ্টভাবে দেখা যায়। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
" আমি যেন একটি নদীর মত সবসময় বয়ে যাচ্ছি। রাস্তায় সুন্দর দৃশ্য দেখলে আমি সেটা নিয়ে আমার সাহিত্য কর্মে তৈরী করি। উত্তরাঞ্চলের গল্প লেখার পর, আমি মাঝে মাঝে দক্ষিণাঞ্চলের গল্পও লিখি"।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |