|
আ লাই তাঁর সাহিত্যে তিব্বতী জাতির মানুষের জীবনকে তুলে ধরে তিব্বতীদের প্রায় এক'শ বছরের পরিবর্তনের দিকটিকে প্রতিফলিত করেছেন নিখুঁতভাবে।
আ লাই মনে করেন, তাঁর সাহিত্যকর্ম তিব্বতী জাতির সব মানুষের প্রতিনিধিত্বশীল কর্ম। তিনি বলেন, তারপরও আমি চেষ্টা করেছি, আমার পক্ষেতো অন্যদের প্রতিনিধিত্ব করা সম্ভবও নয়। কিন্তু আমি আশা করি, আমার সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে লোকেরা ধীরে ধীরে তিব্বত সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং তিব্বত জাতির লোকজনের মনের ও চোখের ভাষা বুঝতে পারবেন।
আ লাইয়ের জীবনের অভিজ্ঞতা কষ্টসাধ্য। তিনি কৃষি ও জলসেচ শ্রমিক ছিলেন। তারপর আ লাই শিক্ষক স্কুলে ভর্তি হন। স্নাতক ডিগ্রী লাভের পর একজন গ্রামীণ শিক্ষক হিসেবে অনেক দিন কাজ করেছেন। ১৯৯৭ সালে স্বপ্ন অন্বেষণে অন্যান্য তরুণ তরুণীদের মতো আ লাইও তাঁর জন্মস্থান থেকে ছেং তুতে চলে আসেন। কাজ করতে করতে তিনি "বৈজ্ঞানিক কল্পকথার বিশ্ব" পত্রিকার সম্পাদক হন। ১০ বছরের মধ্যে তিনি সম্পাদক থেকে প্রধান সম্পাদক পদোন্নতি পান। তারপর হন মহাপরিচালক ।
আ লাই নিজেকে একজন স্পর্শকতার ও আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তি হিসেবে মনে করেন। তাই উপন্যাস লেখার সময় তিনি নিজের বৈশিষ্ট্য উপন্যাসের চরিত্রে তুলে ধরেন। গত শতাব্দীর ৮০'র দশকে আ লাই "সুও মুও নদী" নামে একটি কাব্যগ্রহ্ন এবং "ছেন আই লুও তিং" ও "থোং শান" নামে বড় উপন্যাস প্রকাশ করেছেন। তাঁর একই বয়সী লেখকের চেয়ে আ লাইয়ের সাহিত্যকর্মের সংখ্যা বেশি নয়, কিন্তু তাঁর প্রতিটি উপন্যাসের মান খুব উঁচু।
সাহিত্য তাঁর জন্য কী বয়ে এনেছে ? এ বিষয়ে আ লাই মনে করেন, সাহিত্যের মাধ্যমে তাঁর জীবন বিস্তৃত হয়েছে এবং সাধারণ মানুষের চেয়ে ভিন্নতর দৃষ্টিভঙ্গির অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়েছে। তিনি বলেন,
আমি মনে করি, সাহিত্যের মধ্য দিয়ে জীবনের প্রতি নিজের অনুভূতিকে অনুভব করা উচিত্।
বর্তমানে আ লাই সি ছুয়ান প্রদেশের লেখক সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। মাঝে মাঝে তিনি নিজের গাড়ি চালিয়ে তাঁর সুপরিচিত তিব্বতী এলাকায় এবং নিজের জন্মস্থানে বেড়াতে যান। তিনি সেখানে মানুষের জীবনের পরিবর্তন দেখতে চান। এর পাশাপাশি আ লাই তাঁর উপন্যাস রচনার কাজও করে যাচ্ছেন একটানা। এসব উপন্যাসে তিনি যুগ পরিবর্তনে তিব্বতী লোকের কাহিনী বর্ণনা করছেন ইতিহাসের আলোকে। (লিলি)
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |