|
সি ছুয়ান প্রদেশের উত্তর পশ্চিমের একটি তিব্বতী এলাকা রমাআরখাং জেলার একটি গ্রামে আ লাই জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মা তিব্বতী জাতির এবং তাঁর বাবা হুই জাতির লোক ছিলেন। ছোটবেলায় গ্রামের সব শিশুর মতোই আ লাইও পাহাড়ের ঢালে ও মাঠে গরু ও ছাগল চরাতেন উদোম শরীরে খালি পায়ে। তুষার পাহাড়ের সৌম, শান্ত ও বিস্তির্ণ ভূমি আ লাইর হৃদয়ে এনে দিয়েছে প্রকৃতি আর মানুষ সম্পর্কে এক বিশেষ অনুভূতি । আ লাই বলেন, আমার ছোট বেলায় আমার কাছাকাছি কোন মানুষ ছিল না। তাই আমি প্রতিটি গাছ ও ঘাসের সাথে কথা বলতাম আপন মনে। তিনি বলেন,
ছোটবেলায় আমি পাহাড়ে গরু ও ছাগল চরানোর সময় চার বা পাঁচ দিনেও কাউকে দেখতে পেতাম না। ছাগল, পাথর ও পাখির সঙ্গে কথা না বললেতো আমাকে বোবাই থাকতে হতো। দিনের পর দিন এভাবে পাহাড়ে আর মাঠে থাকায় আমার মনে হয়েছে যে সব জীবজন্তুরই অনুভূতি আছে। তারাও আমার সাথে কথা বলতে চাইতো। আমার দারুণ ভালো লাগতো।
আ লাই এ রকমের একটি প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রামে বড় হয়েছেন। এখানকার মরমি সংস্কৃতি ও অপূর্ব লোককাহিনী আ লাইকে লেখার প্রেরণা যুগিয়েছে।
তিনি নিজেই বলেন, একদিন আমি জানালার কাছে বসে দূরের সবজি বাগানের দিকে তাকিয়ে দেখি অনেক সুন্দর সুন্দর পাখি চরে বেড়াচ্ছে। এসব পাখির কিচিরমিচির শব্দ শুনে 'ছেন আই লুও তিং" নামের উপন্যাসের প্রথম লাইন আমার কম্পিউটারের স্ক্রিনে লেখা হয়ে যায়। আ লাই মনে করেন, 'ছেন আই লুও তিং' তাঁর উপন্যাসের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য গ্রহ্ন। তিনি বলেন,
আমার মনে হয়, আমার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হচ্ছে "ছেন আই লুও তিং"। তা হচ্ছে তিব্বতী জাতির ইতিহাসের একটি সবচেয়ে ভালো সারসংকলন।
"ছেন আই লুও তিং" নামে উপন্যাসটি সাহিত্য ক্ষেত্রে চীনের সর্বোচ্চ পুরস্কার, অর্থাত্ মাও তুন সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছে। এ পর্যন্ত আ লাই-ই হচ্ছেন এ পুরস্কার পাওয়া একমাত্র তিব্বতী জাতির লেখক। "ছেন আই লুও তিং" উপন্যাসটিকে এ পর্যন্ত ১৬টি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে।
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |