|
বন্ধুরা, অনেক পর্যটকদেরই মনের ভেতর সুপ্ত ইচ্ছা থাকে তুষারাচ্ছন্ন পার্বত্যাঞ্চলে ঘুরে বেড়ানোর। তিব্বত হলো এদের মধ্যে অন্যতম একটি। যেখানে কেবল যে স্ববৈশিষ্ট্যসম্পন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্য রয়েছে তা নয়, সেখানে তিব্বতী জাতির ঐতিহ্যবাহী সমৃদ্ধ সংস্কৃতিও রয়েছে।
বন্ধুরা, আজকের " সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব" অনুষ্ঠানে আমরা তুষারাচ্ছন্ন পার্বত্যাঞ্চল ভ্রমণকারী পর্যটকদের বৈচিত্রময় জীবন কথাই আপনাদের শোনাবো।
পর্যটনের সবচেয়ে ব্যস্ততম সময় আসার সঙ্গে সঙ্গে তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের রাজধানি লা সা শহরের ' ছেং কুয়ান' জেলার ' নিয়াং রে' নামক তিব্বতী লোক অপেরা দলের শিল্পী ও শিক্ষক 'লোসাং তসেরিং' বেশ কর্মব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। প্রতিদিন সকালে তিনি তাঁর অপেরা সদস্যদের সঙ্গে বাসা থেকে বেশি দূরে নয় এমন একটি ' নিয়াং রে' নামক তিব্বতী লোক অপেরা দলে অংশ নিয়ে পরিবেশনার প্রস্তুতি নেন। তিব্বতী অপেরা সম্পর্কিত আলোচনায় 'লোসাং তসেরিং'বলেন স্বপ্নেও ভাবতেও পারবেন না যে, ভাল বন্ধুদের সাথে নিত্যদিনের মিলন মেলায় গান গাওয়ার কারণে তিব্বতী অপেরা তাকে কতটা অসীম আনন্দ ও ধনসম্পদ এনে দিয়েছে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
আগে শুধু স্থানীয় উত্সবে আমরা মাঝে মাঝে অপেরা পরিবেশন করতাম। অধিকাংশ সময়ই কৃষি জমিতে কাজ করতাম। বর্তমানে তিব্বতে পর্যটন শিল্প তেজীয়ান হয়ে উঠেছে। তিন চারজনকে নিয়ে গঠিত একটি গ্রুপ স্থানীয় বিভিন্ন রিসোর্টে অপেরা পরিবেশন করে আগের চেয়ে আয় করতে সক্ষম হয়েছে। একটি সত্যি কথা বলি, একদিন মাত্র কয়েক ঘন্টা অপেরা পরিবেশন করলেই অনেকটা ক্লান্তি চলে আসে। তবে তিব্বতী অপেরার এতো বেশি অনুরাগী রয়েছে দেখে আমি সত্যি সত্যিই অনেক খুশি অনেক বেশি আনন্দিত।
তিব্বতের তিনটি বৃহত্তম মন্দিরের মধ্যে ' সে লা' মন্দির হচ্ছে তিব্বতী ভাষা প্রতিষ্ঠার অন্যতম একটি। এ মন্দিরের ৪ হাজারেরও বেশি ইতিহাসে ' ছু কুং' উত্তরাধিকারসহ বিভিন্ন বিখ্যাত পর্যটন স্থান রয়েছে। এর মধ্যে লা সা শহরের ' নিয়াং রে' উপথানার পরিবেশ খুবই পরিষ্কার এবং পরিচ্ছন্ন। ২০০৩ সালে তিব্বতের পর্যটন শিল্প উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় সরকার ৫ কোটিরও বেশি ইউয়ান বরাদ্দ করে আবাসিক বিনোদনের উদ্যান প্রতিষ্ঠা করেছে। এটিও লাসা শহরের প্রথম পর্যটন রিসোর্টে পরিণত হয়েছে।
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |