|
ওয়াং আন ই ১৯৫৪ সালে নান চিং জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র এক বছর বয়সের সময় তিনি মায়ের সঙ্গে শাংহাইতে চলে আসেন। ১৬ বছর বয়সে মাধ্যমিক স্কুল পাশ করার পর তিনি আন হুই প্রদেশের এক গ্রামে দু'বছরের জীবন কাটিয়েছেন। ১৯৭৮ সালে তিনি আবার শাংহাই ফিরে যান। দেখা যায়, ওয়াং আন ই'র জীবন অভিজ্ঞতা অনেক। কিন্তু তাঁর এ কয়েকটি সহজ অভিজ্ঞতা তাকে সাহিত্যকর্ম সৃষ্টিতে অশেষ প্রেরণা এনে দিয়েছে। কেউ কেউ লোক বলেন, ওয়াং আন ই'র আগেকার সাহিত্যকর্মে বরাবরই তার নিজের জীবনের কথা বর্ণনা করা হয়েছে।
তাঁর সাহিত্যকর্ম রচনার পথ প্রসঙ্গে ওয়াং আন ই মনে করেন, তিনি খুব ভাগ্যবান। তিনি বলেন,
আমি মনে করি, আমার সাহিত্যকর্ম রচনা করার বাছাই সঠিক ছিল। ছোটবেলায় আমি বই পড়তে পছন্দ করতার। আমার বাসায় প্রচুর বই ছিল। যে কোন সময় আমি বই পড়তে পারতাম। আমি খুব ভাগ্যবান। আমার প্রথম সাহিত্যকর্ম প্রকাশিত হয়।
ওয়াং আন ই'র সাহিত্যকর্মে সমাজের নিম্ন স্তরে জীবন কাটানো অনেক মহিলা চরিত্র রয়েছে। এসব চরিত্রে যার যার স্বপ্ন বাস্তবায়ন এবং প্রেম অন্বেষণের জন্য সাহসিকতার দিকটি ফুটে উঠেছে। তাঁর সাহিত্যকর্মে প্রধান মহিলা চরিত্র বরাবরই সাহসী, বুদ্ধিমান ও পরিশ্রমী। তিনি বলেন,
আমার মনে হয়, সৃজনশীল কাজ আমার জন্য উপযুক্ত। এ ক্ষেত্রে আমার প্রতিভা আছে। বাস্তব ক্ষেত্রে আমার যে কাজ করার সাহস নেই সে কাজ আমি আমার সাহিত্যকর্মে করতে পারি। এ ধরণের অনুভূতি খুব ভালো।
সৃজনশীল কাজ ওয়াং আন ই'র জন্য অনেক সাফল্য বয়ে এনেছে। তিনি হচ্ছেন শাংহাই লেখক সমিতির চেয়ারম্যান এবং চীনা লেখক সমিতির ভাইস-চেয়ারম্যান। তাঁর সাহিত্যকর্ম অনেক দেশের ভাষায় অনুদিত হয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। এখন ওয়াং আন ই শাংহাইয়ে বসবাস করছেন এবং অব্যাহতভাবে লিখে চলেছেন। (লিলি)
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |