|
নতুন শাংহাইতে এমন ধরণের জাঁকজমকপূর্ণ তারপরও এসব গল্প স্থায়ীভাবে লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে। তবে এখন এসব গল্পের প্রধান চরিত্র ধনী মানুষ থেকে স্বাধারণ শহরবাসীতে রুপান্তরিত হয়েছে। সাধারণ মানুষের জীবনের ওপর দৃষ্টি রাখা এবং সত্যিকারভাবে তাদের আনন্দ ও বেদনার প্রতিফলন হচ্ছে শাংহাই সাহিত্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। লু সুন, মাও তুন ও পা চিনসহ চীনের অনেক রচয়িতা এ ধরণের সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে শাংহাইকে তুলে ধরে যুগের প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। ওয়াং আন ই নামের নারী লেখিকা তাদের মতোই একজন। তিনি তার বিশেষ দৃষ্টি থেকে শাংহাই'র বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এক একটি চরিত্র সৃষ্টি করেছেন।
তিনি "আধুনিক", "রক্ষণশীল" ও "প্রাণচঞ্চল" এ তিনটি শব্দ তাঁর চোখের শাংহাই বর্ণনা করেছেন। শাংহাই প্রসঙ্গে সাধারণ মানুষের ছাপের চেয়ে তাঁর ধারণা একটু ভিন্ন। আধুনিক মানে শাংহাই একটি আন্তর্জাতিক বড় শহর। রক্ষণশীল মানে গ্রাম থেকে শহরে পরিবর্তনের পর শাংহাইতে চীনের ঐতিহ্যবাহী ছাপের প্রতিফলন। প্রাণচঞ্চল প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
আমার মনে হয়, শাংহাই প্রাণচঞ্চল। এ বৈশিষ্ট্য তার বেড়ে ওঠার সঙ্গে জড়িত। এ শহর ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে নি, তা নয়। তবে হঠাত্ বিদেশী পুঁজি শাংহাইয়ে প্রবেশ করতে শুরু করে।
গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকের পর ওয়াং আন ই তাঁর সাহিত্যকর্মে নিখুঁতভাবে শাংহাই'র নাগরিকদের জীবন বর্ণনা করেছেন। তাঁর সাহিত্যকর্মে সার্বিকভাবে পুরানো শাংহাই থেকে নতুন শাংহাইতে পরিবর্তনের প্রক্রিয়াই প্রতিফলিত হয়েছে।
"ছাং হে কো" নামে তাঁর উপন্যাস পঞ্চম মাও তুন সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছে। মাও তুন সাহিত্য পুরস্কার হচ্ছে চীনের বড় গল্পের অর্থাত্ উপন্যাসের ওপর দেয়া সর্বোচ্চ পুরস্কার।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |