|
ধৈর্য্যধারণকারীর সব চাওয়া পাওয়া পূরণ হয়। নিরলস প্রচেষ্টার ফলে ১৮ বছর বয়সী তেং পাও চিন সারা দেশে অ্যাক্রোব্যাটিক ক্ষেত্রের প্রথম পদক অর্জন করেন। পরে তিনি বহুবার সারা দেশের বড় আকারের অ্যাক্রোব্যাটিক প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক অর্জন করেছেন।
গত শতাব্দীর ৮০ ও ৯০ দশকে তেং পাও চিন তাঁর অ্যাক্রোব্যাটিক পরিবেশনার স্বর্ণ যুগে পা দিয়েছেন। এমন কি , তিনি ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং উত্তর কোরিয়ায় তিনবার স্বর্ণপদক অর্জন করেছেন। তিনি অ্যাক্রোব্যাটিক মহলের একজন বিখ্যাত তারকায় পরিণত হয়েছেন।
১৯৯২ সালে তেং পাও চিন চীনের অ্যাক্রোব্যাটিক মহলের সম্মানসূচক একাডেমী পুরস্কার পান। এ মর্যাদা তাঁর নিরলস প্রচেষ্টারই ফসল। তবে এ ক্ষেত্রে ৩০ বছরের অবিরাম চর্চা ও পরিবেশনার পর তেং পাও চিনের শরীরের অনেক জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু তিনি হাসি মুখে বলেন, এ প্রক্রিয়া যেন কফি খাওয়ার মত তিক্তের পরেই মিষ্টি অনুভব। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
" আমি মনে করি, অনেক জিনিস আমাদের আস্থা ও পছন্দের ওপর নির্ভর করে। অ্যাক্রোব্যাটিক চর্চার সময় আমার কাঁধ এবং পা আঘাত প্রাপ্ত হয়। তবে আমি কখনো কোন কষ্টের শব্দও উচ্চারণ করি নি"।
বর্তমানে তেং পাও চিনের অ্যাক্রোব্যাটিক পরিবেশনা দেশি-বিদেশী দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। অবশ্যই সকলের তুমূল হাততালির মধ্য দিয়ে অভাবনীয় প্রশংসা পেয়েছে।–ওয়াং হাইমান
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |