Web bengali.cri.cn   
পরিবেশ রক্ষা বিষয়ক আলোকচিত্র শিল্পী লুও হুং
  2010-02-03 20:55:29  cri

চীনের ৭০টিরও বেশি বড় ও মাঝারি শহরের অলি-গলি রাস্তায় রাস্তায় " হাও লি লাই" নামক কেকের দোকান বেশি দেখা যায়। " হাও লি লাই" গোষ্ঠী হচ্ছে চীনে পিকিং রোষ্ট রান্নার ক্ষেত্রের একটি সর্বোচ্চ শিল্পপ্রতিষ্ঠান। সারা চীনে তার হাজারেরও বেশি শাখা দোকান রয়েছে। এ বৃহত্ খাবার তৈরী গোষ্ঠীর একজন মহাব্যবস্থাপক লুও হুং এ ছাড়াও পরিবেশ রক্ষা ক্ষেত্রের একজন আলোকচিত্র শিল্পী।

আফ্রিকার ওপর তার বিশেষ হৃদয়ানুভূতি রয়েছে। ২০০৬ সালে জাতিসংঘ পরিবেশ কার্যক্রমের আমন্ত্রণে " বিশ্ব পরিবেশ দিবস" উপলক্ষে কেনিয়ার রাজধানি নাইরোবিতে লুও হুংয়ের " পৃথিবীঃ আমাদের পরিবার" নামক ব্যক্তিগত আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। বন্ধুরা, আজকের " সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব" অনুষ্ঠানে আমরা আলোকচিত্র শিল্পী লুও হুংয়ের গল্প আপনাদেরকে শোনাবো।

২০০১ সালের জুন মাসে লুও হুং দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ্টাউনের রাষ্ট্রীয় পার্কে চলে যান। সেখানকার সমারোহময় প্রাকৃতিক দৃশ্য, মানুষ ও পশুপাখির মধ্যকার অবর্ণনীয় সম্মিলন তাঁর মনে প্রগাঢ় ছাপ ফেলেছে। আলোকচিত্র শিল্প ক্ষেত্রের একজন অনুরাগী হিসেবে লুও হুং নিজের ক্যামেরা দিয়ে আফ্রিকার অপুর্ব সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং বন্য প্রাণীর উত্কৃষ্ট মুর্হুতকে লিপিবদ্ধ করেছে। এ সম্পর্কে লুও হুং বলেন:

" আফ্রিকার এ সুষম অবস্থান আমি প্রদর্শন করতে চাই। এটিও সারা জীবন আমার ধরে রাখার নিরলস লক্ষ্য"।

আফ্রিকার সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য লুও হুংকে অনেক অভিভূত করেছে। এ পর তিনি নামিবিয়া, কেনিয়া, জিম্বাবুয়ে এবং তাঞ্জানিয়াসহ আফ্রিকার আরো দশটি দেশে গিয়ে ছবি তুলেছেন। এমন কি, তিনি আফ্রিকার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন বিখ্যাত প্রাকৃতিক রক্ষা এলাকায় গিয়ে বন্য প্রাণীদের মাঝে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:

" আমি মনে করি, আফ্রিকা হচ্ছে বিশ্বের পশু-পাখির স্বর্গ। আফ্রিকায় মানুষ, পশুপাখি এবং প্রকৃতি সব সম্মিলিতভাবে সম্প্রীতিতে বসবাস করে। আফ্রিকার প্রথমবার যাওয়ার পর আমি জানতে পারি যে, আমি আফ্রিকাকে ভালবেসে ফেলেছি। আফ্রিকা হচ্ছে আমার জীবনে জীবদশায় পড়ে শেষ করা যাবে না এমন একটি মূল্যবান বই"।

আফ্রিকায় বহুবছরের সফরে লুও হুং দেখেছেন যে, এখানকার সুন্দর সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য ধাপে ধাপে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেক তৃণভূমির ঘাস আগের মতো ঘন সবুজ হয়ে উঠছে না। এমন কি, অনেক বন্য প্রাণীও স্থানান্তর করেছে। নষ্ট পরিবেশ দেখে লুও হুং অনেক দুঃখ প্রকাশ করেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:

" ২০০৩ ও ২০০৪ সালে আমি বহুবার আফ্রিকায় গিয়েছিলাম। ২০০৫ সালে আমি দেখেছি যে, হ্রদে কোন একটি পাখিও নেই না। এ খারাপ পরিবেশ দেখে আমি সত্যিকারভাবেই অনেক দুঃখ পেয়েছি । একজন শিল্পপতি হিসেবে পরিবেশ রক্ষার ব্যাপারে একটি দায়িত্বশীল ও বাস্তবসম্মত অবদান রাখবো বলে আমি মনে করছি"।

২০০৬ সালে জাতিসংঘ পরিবেশ কার্যক্রমের আমন্ত্রণে লুও হুং " বিশ্ব পরিবেশ দিবস" উপলক্ষে কেনিয়ার রাজধানি নাইরোবিতে " পৃথিবীঃ আমাদের পরিবার" নামক ব্যক্তিগত আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেন। প্রদর্শনীর পর তাঁর শিল্প-কর্মের অর্জিত সব আয় জাতিসংঘের পরিবেশ রক্ষা খাতে প্রদান করেছেন।


1 2
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040