Web bengali.cri.cn   
সাগর স্বর্গ
  2012-05-24 19:39:13  cri

চলচ্চিত্রে বাবার নাম হলো ওয়াং সিন ছেং। 'তা ফু' নামে তাঁর ২১ বছর বয়সী ছেলেটি ছোটবেলা থেকে অটিজমে আক্রান্ত। সে পুরোপুরিভাবে নিজের বদ্ধ বিশ্বে জীবন কাটান এবং নিজের যত্ন নিতে পারে না। তা ফুর মা ছেলে অসুস্থ হওয়ার পর একটি আকস্মিক দুর্ঘটনায় মারা যান। বাবা ওয়াং সিন ছেং নিজের উদ্যোগে তা ফুর যত্ন নেন। তা ফুর ২১ বছর বয়সে বাবা ওয়াং সিন ছেং যকৃতের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। তাঁর জীবনের আর মাত্র তিন চার মাস বাকী। মারা যাওয়ার আগে কীভাবে জীবন ধারণ করতে হয় ছেলেকে তা শেখানোর অনেক চেষ্টা করেন বাবা। তিনি অনেক প্রচেষ্টার পর ব্যর্থ হন। তিনি তা ফুকে নিয়ে এই পৃথিবী পরিত্যাগ করতে চেয়েছেন। তা চলচ্চিত্রের প্রথমে বর্ণনা করা হয়, বাবা তা ফুকে নিয়ে একসাথে সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়েন।

তারপর একজন দয়ালু অধ্যক্ষের সাহায্যে বাবা ওয়াং সিন ছেং একটি ব্যক্তিগত গণ-কল্যাণকর সংস্থা খুঁজে পান। সেখানে তা ফুকে গ্রহণ করতে রাজী হয়।

প্রিয় শ্রোতা, আপনারা চলচ্চিত্রের যে অংশ শুনছেন তা হলো প্রথম দিনে বাবা তা ফুকে সেই ব্যক্তিগত গণ-কল্যাণকর সংস্থায় পাঠানোর পর একা একা বাসায় রয়েছেন।

কিন্তু তিনি শিগগিরী সেই সংস্থার কর্মীদের ফোন পান। তা ফু একা একা সেখানে বাস করতে অভ্যস্ত হতে পারেন না।

বাবা ওয়াং সিন শেং নতুন দফার প্রচেষ্টা শুরু করেন। অবশেষে তিনি একটি সিদ্ধান্ত নেন, নিজের বাড়ি হস্তান্তর করে তা ফুর সাথে সেই গণ-কল্যাণকর সংস্থায় থাকেন।

বাবা ওয়াং সিন শেং একটি মাছের এ্যাকুরিয়ামে কাজ করেন। তা ফু জন্ম থেকে পানি পছন্দ করেন বলে বাবার কাজ করা মাছের এ্যাকুরিয়ামে সাঁতার কাটা তাঁর সবচেয়ে আনন্দদায়ক সময়।

তা ফু যেন ভালোভাবে আনন্দের সাথে জীবন কাটাতে পারে এবং তাঁর প্রিয় মাছের চৌবাচ্চায় থাকতে পারে সে জন্য বাবা ওয়াং সিন ছেং প্রায় অসম্ভব একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। তা হলো মাছের চৌবাচ্চায় চাকরি করার জন্য তা ফুকে শিখিয়ে দেওয়া। তিনি তা ফুকে নিজে নিজে বাসে চড়ে মাছের চৌবাচ্চায় যাওয়া শেখান এবং সেখানে মেঝে ঝাঁট দেয়া শেখান।

প্রিয় শ্রোতা, আপনারা এখন চলচ্চিত্রের যে অংশ শুনছেন তা হলো বাড়িতে বাবা ওয়াং সিন ছেং বাসের একজন কন্ডাকটরের ভান করে তা ফুকে বাস থেকে নামা শেখাছেন।

বাবা ওয়াং সিন ছেং বলেন: শাং তোং স্টেশন পৌঁছেছি। কে কে নামবেন?

বাবা তা ফুকে বলেন, বাসে কন্ডাকটরের এ কথা শুনলে বলতে হবে: আমি নামবো।

তা ফু বাবার কথা শুনে উচ্চারণে বলেন, আমি নামবো।

তা ফুর নিঃসঙ্গতা দূর করার জন্য তিনি নিজের অসুস্থতা উপেক্ষা করে নিজের তৈরি শাঁস পিছনে রেখে সাগর কচ্ছপের ভান করে তা ফুর সাথে সাঁতার কাটেন।

1 2 3 4
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040