|
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, এখন আমি আপনাদের জন্য 'টাইট্যানিক' চলচ্চিত্রের প্রধান কিছু বিষয় ব্যাখ্যা করবো।
সবাই জানেন, 'টাইট্যানিক' চলচ্চিত্র ১৯১২ সালের সেই জাহাজডুবির ঘটনা অনুসারে নির্মাণ করা হয়। ১৯১২ সালে আটল্যান্টিক মহাসাগরে ডুবে যাওয়া 'টাইট্যানিক' নামে একটি জাহাজ এবং জাহাজের একটি মূল্যবান সম্পদ, অর্থাত্ 'সাগরের মন' নামে একটি মূল্যবান রত্ন খুঁজে বের করার জন্য ব্রোক লোভেট নামে একজন অনুসন্ধানকারী জাহাজডুবি থেকে একটি জংধরা বাক্স উদ্ধার করেন। কিন্তু দেখা যায় এর ভেতরে মাত্র একটি পূর্ণাঙ্গ রেখাচিত্র আছে। রেখাচিত্রে নেকলেস পড়া একজন তরুণীর ছবি আঁকা রয়েছে। এই খবর টিভিতে প্রচারের পর এক শ'রও বেশি বছর বয়সী একজন বৃদ্ধার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তিনি উদ্দীপ্ত হয়ে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে অনুসন্ধানকারীদের জাহাজে যান। তাঁর নাম হলো রোজ ডাউসন। তিনিই ছবিতে আঁকা সেই তরুণী। তিনি টাইট্যানিক জাহাজে ঘটে যাওয়া প্রাণ দোলানো একটি প্রেমের গল্প বর্ণনা করেন।
প্রিয় শ্রোতা, আপনারা এখন যে চলচ্চিত্রের অংশ শুনছেন তা হলো জ্যাক এবং তাঁর বন্ধু উদ্দীপ্ত হয়ে টাইট্যানিক জাহাজের ডেকে দাঁড়িয়ে হৈ চৈ করে বলেন: 'আমি জগতের রাজা'।
চলচ্চিত্রের প্রধান নারী চরিত্র রোজ উন্নত সমাজের জীবন অত্যন্ত ঘৃণা করে সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়ার ইচ্ছে করলেন। জ্যাক ডাউসন নামে একজন তাঁকে উদ্ধার করলেন।
প্রিয় শ্রোতা, আপনারা এখন চলচ্চিত্রের যে অংশ শুনছেন তা হলো সেই দু'জনের কথোপকথন।
জ্যাক তরুণ, দরিদ্র কিন্তু প্রতিভাসম্পন্ন একজন শিল্পী। তিনি রোজকে নিয়ে জাহাজের তৃতীয় শ্রেণীর কেবিনে আয়োজিত নৃত্যে অংশ নিলেন এবং তাঁর জন্য ছবি আঁকলেন।
আপনারা এখন চলচ্চিত্রের যে অংশ শুনছেন এতে রোজ এবং জ্যাকের নাচের দৃশ্য বর্ণনা করা হয়।
রোজ এবং জ্যাক পরস্পরকে ভালোবেসে ফেললেন।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |