মনে আছে, ২০০৪ সালের জুলাই মাস থেকে ২০০৬ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত আমি শ্রোতাদের কাজের দায়িত্ব ছিলাম। তখন প্রতিদিন অনেক শ্রোতার চিঠি পড়তাম, হাতে লিখে শ্রোতার চিঠির উত্তর দিতাম, মিতালী ও মুখোমুখিসহ শ্রোতা সম্পর্কিত অনুষ্ঠানগুলো পরিবেশন করতাম। তারপর কাজের পালাক্রমিক পরিবর্তনের কারণে আমি বহু দিন ধরে শ্রোতাদের কাজ থেকে দূরে আছি। যদিও মাঝেমধ্যে আমি শ্রোতাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলি, ইন্টারনেটে শ্রোতাদের ইমেইল বা মন্তব্য পড়ি, আমার নামে শ্রোতাদের পাঠানো চিঠি পড়ি, তবে অনুষ্ঠানে সরাসরি শ্রোতাদের সাথে কথা বলার সুযোগ খুব কম। এখন নতুন বছর শুরু হয়েছে, আমি বাংলা বিভাগের পরিচালক হিসেবে শ্রোতাদের আরো কাছে যাওয়ার জন্য এক নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তা হচ্ছে প্রতি শুক্রবারে এ মুক্ত মন মুক্ত চিন্তা আসরে আমার প্রিয় শ্রোতাদের জন্য এক বিশেষ স্থান দিবো। এ ক্ষুদ্র আসরের নাম দেয়া হবে 'পরিচালকের বাক্স'। আপনারা সিআরআই'র বাংলা বিভাগের প্রতি কোন মতামত বা প্রস্তাব থাকলে চিঠি বা ইমেইলে আমাকে লিখে জানাবেন। আমি এ আসরে আপনাদের উত্তর দেবো। যারা সরাসরি আমার সঙ্গে কথা বলতে চান, বা আমাকে কোন বিশেষ বিষয় নিয়ে সাক্ষাত্কার দিতে চান, তাহলে আমাকে ফোন নম্বর জানাবেন। আমি পেইচিং থেকে আপনাদের যোগাযোগ করবো। কেমন?
আমি চাই, ভবিষ্যতে সিআরআই'র বাংলা অনুষ্ঠান আরো শ্রোতাদের কাছে যাবে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমি এবং আমার সহকর্মীরা সবাই মন দিয়ে প্রচেষ্টা চালাবো।
গত ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশের শ্রোতা মোঃ হায়দুল ইসলাম আমাদের অফিসে ফোন করেছেন। তিনি নববর্ষ উপলক্ষ্যে সকল শ্রোতা বন্ধুদের জন্য এক গান শোনাতে চেয়েছেন। গানটি সংগীত ছাড়া হলেও আমি তাঁর কণ্ঠ থেকে তাঁর মনের আন্তরিকতা বুঝতে পেয়েছি। তাহলে বন্ধুরা, আপনারা বন্ধু মোঃ হায়দুল ইসলামের গান ও আমাদের কথোপকথন শুনুন। (ইয়ু)