Web bengali.cri.cn   
অর্থনৈতিক গঠনকাজকে কেন্দ্র করা হচ্ছে চীনের দেশ গঠনের গুরুত্বপূর্ণ দিক
  2011-08-05 19:28:27  cri

সম্প্রতি চীনের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার ৯০তম বার্ষিকী উদযাপনী অধিবেশনে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হু চিন থাও জোর দিয়ে বলেছেন, 'অর্থনৈতিক গঠনকাজকে কেন্দ্র করা হচ্ছে দেশ গঠনের গুরুত্বপূর্ণ দিক। ভবিষ্যতে আমাদের অব্যাহতভাবে অর্থনৈতিক গঠনকাজকে কেন্দ্র করে যেতেই হবে। এ ক্ষেত্রে কিছুই নড়বড়ে হবে না।' এ কথা বলা যায়, নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পর, বিশেষ করে সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের ৩০ বছরের বাস্তব অনুশীলনের ভিত্তিতে বৈজ্ঞানিকভাবে এ তত্ত্ব সারসংকলন করা হয়েছে এবং এর নতুন অন্তঃসার যোগ দিয়েছে।

সমাজতন্ত্রের মর্ম হচ্ছে উত্পাদনশক্তি মুক্তি ও উন্নয়ন করা। চীনের কমিউনিস্ট পার্টি চীনের উন্নত উত্পাদনশক্তির প্রতিনিধি হিসেবে ঐতিহাসিক মঞ্চে উঠেছে। গত ৯০ বছরে চীনা জনগণকে নিয়ে নতুন গণতন্ত্রের বিপ্লব করা হোক, চীনা জনগণকে নিয়ে সমাজতান্ত্রিক গঠনকাজ করা হোক, সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ অন্বেষণ ও কার্যকর করা হোক, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেবল সমাজের উত্পাদনশক্তি মুক্তি ও উন্নয়ন করা এবং জনগণের জীবন উন্নয়নের উদ্দেশ্যে যাবতীয় সংগ্রাম করেছে।

১৯৪৯ সাল নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পর চীনের কমিউনিস্ট পার্টি জনগণকে নিয়ে ব্যাপক আকারের অর্থনৈতিক গঠনকাজ শুরু করে, কৃষি, হস্তশিল্প আর ধনতান্ত্রিক শিল্প ও বাণিজ্যের সমাজতান্ত্রিক সংস্কার বাস্তবায়ন করেছে এবং পরের সমাজতন্ত্র নির্মাণের জন্য ব্যবস্থা ও বাস্তব ভিত্তি স্থাপন করেছে। এ সময়পর্বে মধ্যে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পথনির্দেশক চিন্তাধারার ভূলও ছিল। যার ফলে জনশক্তি ও অর্থের অতিব্যয় সৃষ্টি হয়েছিল। তবে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি যথাসময়ে উন্নয়নের চিন্তাধারা শোধ করেছে। ১৯৭৮ সালে অনুষ্ঠিত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ১১তম কেন্দ্রীয় কমিটির তৃতীয় পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে কাজের গুরুত্বপূর্ণ দিক সমাজতন্ত্রের আধুনিক গঠনকাজের ওপর স্থানান্তর করার কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এবং সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের পর্দা উন্মোচন করেছে।

এর পর ত্রিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে অর্থনৈতিক গঠনকাজকে কেন্দ্র করা পার্টির একটি কৌশলগত মতৈক্যে পরিণত হয়েছে। সব নীতি এ কেন্দ্রকে কেন্দ্রীভূত করে প্রণীত হয়। এর ফলে চীন অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। ২০১০ সালে চীনের অর্থনৈতিক আকার বিশ্বের দ্বিতীয় উন্নীত হয়েছে। চীন পৃথিবীতে জাতিসংঘের দারিদ্র জনসংখ্যা অর্ধেক কমানোর সহস্রাব্দ উন্নয়নলক্ষ্যের পূর্বনির্ধারিত সময়ের আগে তা বাস্তবায়নের একমাত্র দেশে পরিণত হয়েছে। চীনা জনগণ শিক্ষা, চিকিত্সা, স্বাস্থ্যসহ নানা ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা পেয়েছে।

কিন্তু অন্য দিকে, চীনের মাথাপিছু জিডিপি পৃথিবীতে ৯৫তম স্থানে রয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় শিল্প কাঠামোর ভারসাম্যহীনতা, প্রবৃদ্ধি পদ্ধতির অসঙ্গতসহ নানা সমস্যা আবির্ভুত হয়েছে। এ থেকে প্রমাণিত হয়েছে, চীন একটি বড় দেশ হলেও এখনও এক শক্তিশালী দেশ নয়। বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশের উন্নয়নের মানের তুলনায় আরো বিরাট ব্যবধান আছে।

এখন চীন গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সুযোগ সম্মুখীন হচ্ছে। নতুন ঐতিহাসিক আরম্ভবিন্দু থেকে উন্নয়ন করতে চাইলে মূলত বৈজ্ঞানিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে হবে, অর্থনৈতিক গঠনকাজকে কেন্দ্রভূত করতে হবে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পদ্ধতির রূপান্তর দ্রুততর করতে হবে, শিল্প কাঠামোর সুবিন্যাস ও উন্নত বাস্তবায়ন করতে হবে। কেবল এভাবে চীন স্থায়ী সমৃদ্ধ ও উন্নয়ন বজায় রাখা যায়। জনগণের জীবন আরো উন্নয়ন হতে পারে। (ইয়ু)

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040