মরুভূমির দেশ মিশরের কাছে জলসেচ হচ্ছে সব কাজের মধ্যমনি অর্থাত নিশ্চিত ভরসা। ফলে মিশরীরা নীল নদীর পানিক মরুভূমিতে সিঞ্চণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে মরুভূমি অধুষিত অঞ্চলের আয়তন বাড়িয়ে দেশটির ভূভাগের ২৫ শতাংশ উর্বর জমিতে সম্প্রসারণ করা।
মিশরের জলসেচ প্রকল্পের কথা বললে বিশ্ববিখ্যাত আসওয়ান বাঁধের কথা না বললে ঠিক হবে না। গত চল্লিশ বছরে এ বাঁধ মিশরের জন্য বিরাট অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুনাফা অর্জন করেছে। এ বাঁধ নির্মাণের উদ্দেশ্য ছিলো নীল নদীর পানি প্রবাহের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা, যাতে বর্ষাকালে বন্যা না হয় এবং খরার সময় পানির অভাব না হয়। এর পাশাপাশি কৃষি জমির আয়তন বেড়ে খাদ্য এবং অর্থকরী ফসলের উত্পাদনের পরিমাণ বাড়ানো যায়।
মিশর সরকার জোরালোভাবে পানি সাশ্রয় করে জলসেচন প্রযুক্তি জনপ্রিয় করার পাশাপাশি কৃষি খাতের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন এবং জলাধার নির্মাণ করে দেশের কৌশলগত পানি সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। মিশর আরো দু'টি বড় আকারের পানি স্থানান্তর প্রকল্প নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। অর্থাত্ নীল নদীর পানিকে সুয়েজ খাল অতিক্রম করে সিনাই উপদ্বীপে নেয়া এবং নাসের হ্রদের পানি মিশরের পশ্চিমাঞ্চলের নতুন নদী উপত্যকা অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া। বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন, এ দুটি প্রকল্প চালু হলে মিশরে ১ কোটি ৩০ লাখ মু আবাদী জমি বাড়বে।
তবে এ সব ব্যবস্থা থাকলেও মিশর পানি সম্পদ ব্যবহারের বিরাট চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। মিশরের জনসংখ্যা অতি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় পানি সম্পদ সংকট সৃষ্টির একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মিশরের এক সরকারী রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে মিশর গুরুতর পানির অভাবজনিত সমস্যার সম্মুখীন হবে। (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে)