বন্ধুরা, প্রতি বছরের জুলাই ও আগস্ট মাস হচ্ছে চীনের নানা বিদ্যালয়ের গ্রীষ্মকালীন ছুটির সময়। ছেলেমেয়েরা প্রায় পাঁচ মাস স্কুলে লেখাপড়ার পর দেড় মাস ছুটি পায়। তারা সাধারণতঃ বাবা-মার সঙ্গে কোন পর্যটন স্থান ভ্রমণ করতে যায়, অথবা নানা-নানী বা দাদা-দাদীর বাড়িতে গিয়ে ছুটি কাটায়। আবার অনেক বাবা-মা ছেলেমেয়েকে কোন বিশেষ গ্রীষ্মকালীণ শিবিরে পাঠান। সে গ্রীষ্মকালীন শিবিরে ছাত্রছাত্রীদের অনেক নতুন বন্ধুদের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করা যায়। আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদের জানাতে চাই যে, যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান ও রাশিয়ার ছাত্রছাত্রীরা কীভাবে তাদের গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটায়। এর উত্তর দেবেন উপরোক্ত কয়েকটি দেশে সিআরআই'র সাংবাদদাতারা।

যুক্তরাষ্ট্রের গ্রীষ্মকালীন ছুটি কেমন কাটায়

যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলের গ্রীষ্মকালীন ছুটি বিভিন্ন অঞ্চলে দেড় মাস থেকে তিন মাস পর্যন্ত দেয়া হয়। বেশির ভাগ স্কুল গ্রীষ্মকালীন ছুটির সময় খুব কম ঘরের কাজ দেয়। কিন্তু মার্কিন ছাত্রছাত্রীরা সাধারণত এ ছুটিতে কেবল বিশ্রাম নেয় বা বিনোদন করে না। বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রী এ সুযোগে লেখাপড়া ও চাকরি করে অথবা কমিউনিটিতে সেবা করে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাত্রদের কমিউনিটিতে সেবা করার অভিজ্ঞতার ওপর খুব গুরুত্ব দেয়। সে জন্য গ্রীষ্মকালীন ছুটির সময় বিভিন্ন কমিউনিটি আর দাতব্য প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের দেখা যায়। তারা বার্ধক্য সদনে বৃদ্ধবৃদ্ধাদের সাহায্য করে, সংসদ সদস্যের জন্য নথিপত্র তৈরি করে, এমন কি বিশ্বের বিভিন্ন দরিদ্র অঞ্চলে গিয়ে স্বল্পকালীন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করে।

তা ছাড়া শ্রমের বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করা হচ্ছে মার্কিন ছাত্রছাত্রীদের গ্রীষ্মকালীন ছুটির ঐতিহ্য। যেমন মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্র ম্যাকডোনাল্ডসে হামবার্গার তৈরি করে, বা পিজাহার্টে পিজা পাঠায়, রাস্তায় পত্রিকা বিক্রি করে ইত্যাদি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা সাধারণত তাদের গবেষণা বিষয়ক কোম্পানিতে কাজ করে। ছাত্ররা গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে সমাজের সঙ্গে যোগাযোগ করে, জীবনযাপনের কৌশল শেখে, টাকা আয় করে পরবর্তী বছরের শিক্ষার ফি জোগার করে বা গাড়ি কেনে। মার্কিন বাবা-মাও নিজের সন্তানকে এভাবে গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটাতে উত্সাহ দেন। ভ্রমণ হলো গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে ছাত্রদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেক ছাত্র অর্ধেক সময় শ্রমের বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করে, তারপর বাকি সময় ভ্রমন করে।