পাসানের দু'তলা বিশিষ্ট ৪ শ' বর্গ মিটার একটি নতুন বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে । বাসায় রঙ্গিন টেলিভিশন , রিফ্রিজারেটর ও কাপড় ধোয়ার মেশিনসহ বিবিধ ইলেকট্রনিকস দ্রব্য রয়েছে । তার পরিবারের ভান্ডার খাদ্যে পরিপূর্ণ । পাসান তার অভাবনীয় সুখী জীবন কাটাচ্ছেন ।
মাখন ও দুধ তৈরির ব্যবসা চালানোর জন্য পাসানের যে সব অর্থ লাগছে , তার বেশির ভাগ সরকারের ক্ষুদ্র ঋণের ওপর নির্ভর করা হয় । লাসার শহরে ছেইকোংতাং থানা বৃহত্তম কৃষি প্রধান থানা । এ থানায় কৃষি কাজ চালানোর ক্ষেত্রে পুরোপুরি যন্ত্রায়ন বাস্তবায়ন করা হয়েছে । গ্রামবাসী ছেইতে পিংছু বলেন , ফসলের উত্পাদনের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য যে সব অর্থের প্রয়োজন , তার ৮০ শতাংশ সরকার বরাদ্দ করে , বাকী ২০ শতাংশই কৃষক ও পশুপালকদের অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয় । সরকারের সাহায্য এ গ্রামে কৃষি কাজ চালানোর ব্যাপারে যন্ক্রায়নের ব্যবহার বাস্তবায়ন করা হয়েছে ।
এখন তাদের গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত করা হচ্ছে । এতে তাদের কাজের প্রতি উত্সাহ ও খাদ্য শস্য উত্পাদনের পরিমাণ বিপুল মাত্রায় বেড়ে গেছে । বেশ কিছু শ্রম শক্তি এখন পার্শ্ব শিল্পেও নিয়োজিত রয়েছে । কৃষক ও পশুপালকদের আয় বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে । তাদের মাথাপিছু বার্ষিক আয় কয়েক বছর আগের তুলনায় ৩ গুণ বেড়ে ৩০ হাজার ইউয়ানেরও বেশি হয়েছে ।
1 2 3 4 |