সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের পর তিব্বতে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে । তিব্বতে ছুনফেছিরেনের মতো বহু তিব্বতী সচ্ছল হয়ে উঠেছেন । তিব্বত স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলের লাসা থেকে চল্লিশ পঞ্চাশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জানইট গ্রামকে তিব্বতের বৃহত্তম দুধেল গাই গ্রাম বলে গণ্য করা হচ্ছে । চল্লিশ বছরেরও বেশি বয়সী পাসান দুধেল গাই পালন করছেন । তাকে এ গ্রামের বিশিষ্ট ধনী বলে অভিহিত করা হয় । তিনি বলেন , আগে তারা শুধু নিজেকে ও পরিবার পরিজনের দুধ খাওয়ার জন্য দুধেল গাই পালন করতেন । এখন বেশি আয় করার জন্য তারা এ কাজ করছেন ।
তিনি ও তার পরিবার পরিজন ৩৫টি দুধেল গাই পালন করছেন । প্রতিদিন দুধের নিত্য উত্পাদনের পরিমাণ ৪ শ' কিলোগ্রামেরও বেশি । এখন তার কোম্পানিতে ১১জন কর্মী আছেন । কর্মীদের বেতন ও দুধেল গাইয়ের খাবারের খরচ ছাড়া তার বার্ষিক আয় ৭০ হাজার ইউয়ানেরও বেশি হয়েছে ।
গত শতাব্দির আশির দশকে পাসান ও তার পরিবার পরিজন অন্যান্য তিব্বতী কৃষকের মতো শুধু কৃষি কাজ করতেন । নিত্য জীবনযাপনের প্রয়োজনের জন্য তারা অল্প কয়েকটি দুধেল গাইও পালন করতেন । ১৯৯৮ সালে পাসান সরকারী ক্ষুদ্র ঋণের ওপর নির্ভর করে ৬টি উন্নত মানের দুধেল গাই কিনেছেন । তখন থেকে তিনি মাখন তেল ও দুধ বিক্রির ব্যবসাও শুরু করেছেন । ২০০৩ সালে পাসান তাদের গ্রামে দই প্রক্রিয়াকরণের জন্য প্রথম একটি কুটির স্থাপন করেছেন । এখন 'বাজার' নামে তাদের তৈরি দুধজাত দ্রব্য ক্রেতাদের প্রশংসা পেয়েছে ।
1 2 3 4 |