'সাহস' শিরোনামের প্রদর্শনীর এক অংশে 'দ্য লায়ন কিং' বিষয়ক কার্টুন পাণ্ডুলিপি দর্শকদের চোখের সামনে হাজির হলো। ম্যারি বলেন, মাত্র কয়েকটি ছবির মাধ্যমে প্রধান চরিত্র সিম্বার রাগ ও প্রতিজ্ঞা প্রাণবন্তভাবে ফুটে উঠেছে। দারুণ চমত্কার। চীনা দর্শকের মনে দ্য লায়ন কিং চলচ্চিত্রের বিশেষ তাত্পর্য রয়েছে। কারণ ডিজনির এ চলচ্চিত্রটি সিনেমা হলে গিয়ে প্রথমবারের মতো উপভোগ করেছেন চীনা দর্শকরা। ঠিকই সে বছর, অর্থাত্ ১৯৯৪ সালে ম্যারি ডিজনি কোম্পানির একজন সদস্য হিসেবে যুক্ত হন।
ম্যারির শৈশব কেটেছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে। সেখানে চলচ্চিত্র শিল্প বেশ উন্নত ছিল। প্রতি বছর তিনি ডিজনিল্যান্ডে ঘুরতে যেতেন।
কেউ কেউ মনে করেন, ডিজনির শিল্পীরা নিজের সামনে একটি আয়না রেখে সেখানে নিজের মুখ অনুযায়ী চরিত্রের মুখের অভিব্যক্তি আঁকেন। তা ছাড়া, শিল্পীরা স্টুডিওতে পশুপাখি পালন করেন এবং তাদের প্রতিটি পদক্ষেপ পর্যবেক্ষণ করেন।
ম্যারি স্বীকার করেন, ইন্টারনেটে প্রচলিত এসব কথা সত্যি। সর্বপ্রথম ডিজনিতে যোগ দেওয়ার পর তিনি শুনেছেন, যখন 'দ্য লায়ন কিং' সৃষ্টি করা হয়, তখন পাগল শিল্পীরা একটি সিংহ যোগাড় করে স্টুডিওতে নিয়ে আসেন। তারপর নিরাপদ স্থানে লুকিয়ে সিংহটির প্রতিটি অভিব্যক্ত, নড়াচড়া পর্যবেক্ষণ করেন ও রেকর্ড করেন। তা ছাড়া, তারা একজন পেশাদার পালকও নিয়োগ করেন। সে সময় যারা ডিজনিতে কাজ করতেন, তারা মাঝে মধ্যে সিংহটির গর্জন শুনতে পেতেন।
'মুলান' নামটি চীনাদের কাছে বেশ সুপরিচিত। কার্টুন চলচ্চিত্রের পাণ্ডুলিপি 'সাহস' অংশের অন্তর্ভুক্ত এটি। 'মুলান' কার্টুনের পাণ্ডুলিপিটি এই প্রথম প্রদর্শন করা হয়েছে। অধিকাংশ মার্কিন পেশাদার নারীর মতো ম্যারি নিজেও মুলানের ভক্ত। ম্যারি সংবাদদাতাদের চীনের ঐতিহ্যবাহী মুলানের কাহিনী তুলে ধরেন। একজন মেয়ে হিসেবে মুলান পুরুষের বেশ ধরে বাবার জন্য যুদ্ধক্ষেত্রে যান এবং বিভিন্ন সময় পুরস্কার পাওয়ার কাহিনী ফুটে উঠেছে এই কার্টুন চলচ্চিত্রে মাধ্যমে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ডিজনি কার্টুন চলচ্চিত্র তার আগের আবেদন হারিয়ে ফেলেছে। তবে 'ফ্রোজেন' কার্টুন চলচ্চিত্রটি ডিজনির এই মন্দাবস্থা কিছুটা কাটিয়ে তুলেছে। ১২০ কোটি মার্কিন ডলার আয় করে এই কার্টুন চলচ্চিত্রটি চলচ্চিত্রের ইতিহাসের বক্সঅফিস লিডারবোর্ডের প্রথম পাঁচটি স্থানের একটি দখল করেছে। ম্যারি 'ফ্রোজেন' সংক্রান্ত পাণ্ডুলিপি 'পরিবার' অংশ রাখেন। তিনি বলেন, আমার ছেলেদের সঙ্গে আমি 'ফ্রোজেন' চলচ্চিত্র দেখেছি। আমার ছেলেরা টানা একমাস এ চলচ্চিত্রের থিম সং 'let it go' গেয়েছে। ম্যারি বলেন, ডিজনিতে কাজ করার সঙ্গে তার ছেলেদের বেশ কিছু বিষয়ে মিল রয়েছে। ছেলেদের কোনো জিনিস পছন্দ হওয়া দিয়ে ম্যারি আরো ভালো করে তা বুঝতে পারেন। এটা তার কাছে অনেক গৌরবের বিষয় বলে মন্তব্য করেন ম্যারি।
(লিলি/তৌহিদ)