
উ ছিয়াও আন্তর্জাতিক এক্রোবেটিক্স বিদ্যালয় ১৯৮৩ সালে চালু হয়। এ বিদ্যালয়ে চীনা ছাত্র-ছাত্রী ছাড়াও অনেক বিদেশী ছাত্রও রয়েছে । ২০০২ সাল থেকে চীন সরকার এ বিদ্যালয়ের বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক সাহায্য দিতে শুরু করে । বিদেশী ছাত্রছাত্রীরা এ বিদ্যালয়ে এক বছর শিখতে পারেন । বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে মোট ২৪জন বিদেশী শিক্ষার্থী আছে । তাদের মধ্যে সবচেয়ে ছোটটির বয়স মাত্র আট বছর । বিদেশী ছাত্রছাত্রীরা এক্রোবেটিক্স শিখতে আগ্রহী । বিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন , এ বিদ্যালয়ে মোট দেড় শ' বিদেশী ছাত্রছাত্রী এক্রোবেটিক্সের ওপর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ।
১৯৫৬ সাল থেকে চীনের এক্রোবেটিক্স খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাগুলোতে পুরস্কার লাভ করতে শুরু করে । গত বিশ-বাইশ বছরে চীনের এক্রোবেটিক্স খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় শতাধিক পুরস্কার পেয়েছেন । বিশ বছরের শিল্পী লিয়ান চেন বলেন , তিনি এক্রোবেটিক্স পছন্দ করেন । লিয়ান চেন চীনের এক্রোবেটিক্স দলের সঙ্গে চীনের বিভিন্ন স্থান তথা বিদেশে ভ্রমণও করেছেন। এ ধরনের অভিজ্ঞতা তার ভাল লাগে । কেননা এতে তার জীবন সমৃদ্ধ হচ্ছে । তিনি বলেন , আমি মালয়সিয়ার কুয়ালালামপুর ও দক্ষিণ কোরিয়ার অনেক শহরে গিয়েছি । চীনের এক্রোবেটিক্স অনুষ্ঠান বিদেশী দর্শকরা দেখতে পছন্দ করেন । আমার বাঁশে ওঠা ও প্ল্যাট ঘোরার কৌশল দর্শকরা পছন্দ করেন । আমরা প্রায়ই আমন্ত্রন পেয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বা বিদেশে যাওয়ার সুযোগ পাই , তাই আমাদের জীবন এখন সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে । আমি এ ধরনের জীবন পছন্দ করি ।

1 2 3 4
|