
"বিংশ শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকে জার্মানীর কিছু এক্সপ্রেশেনিষ্ট-এর চিত্রকলা পেইচিংয়ের সংস্কৃতি কেন্দ্রে প্রদর্শিত হয়। এসব ছবি আমি দেখেছি এবং তা খুব পছন্দ হয়। তা আমার কল্পনার ছবির মতো দেখায়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় আমার একটি স্বপ্ন গড়ে উঠে, তা হলো জার্মানীতে গিয়ে দেখবো যে এই দেশ কেমন, কেন এই দেশে এমন চমত্কার শিল্পী এবং তাদের শিল্পকর্মের সৃষ্টি হয়।"
জার্মানীতে থাকার সময় তিনি অনেক বার একক প্রদর্শনী করেছেন। আবার দেশে ফিরে আসার পর চীনের চারুকলা যাদুঘরে নিজের ভাস্কর্য প্রদর্শনের সময় লিউ ইয়ং কাং আবার চীনের চারুকলা ক্ষেত্রের ব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হন। তার শিল্পকর্মের বৈশিষ্ট রিয়েলিস্টিক থেকে এ্যাবস্ট্রাষ্ট-এ পরিবর্তন নিয়ে সবাই খুব অবাক হয়েছে। কেউ মনে করে তার শিল্পকর্মে প্যাশন আর সেন্সিটিভিটির ছোঁয়া রয়েছে। কেউ কেউ মনে করে কালো রং খুব নিখুঁতভাবে তার ছবিতে ব্যবহৃত হয়। চীনের ঐতিহ্যিক চারুকলায় এবং জার্মানীর চারুকলায় কালো রং সাধারণ দেখা যায়। আর লিউ ইয়ং কাং দু'টি দেশের এই বৈশিষ্ট শিখে পূর্ব ও পশ্চিমা চারুকলার মধ্যে সেতু নির্মাণের চেষ্টা করছেন। চীনের সেন্ট্রাল একাডেমি অব ফাইন আর্টের অধ্যাপক ওয়েন লি ফেং হলেন লিউ ইয়ং কাংয়ের শিক্ষক। লিউ ইয়ং কাংয়ের শিল্পকর্ম নিয়ে অধ্যাপক ওয়েন বলেন:
"তিনি নিজের প্যাশন দিয়ে চিত্কলা ও ভাস্কর্যে ভাষাকে ব্যবহার করে পূর্ব ও পশ্চিমা শিল্পকলার ধারণাকে মিশিয়ে গভীরভাবে নিজের অনুভূতিকে প্রকাশ করছেন। তিনি এ্যাবস্টাক্ট শিল্পকর্মে নিজের সৃষ্টি উপাদানকে নিজের ধারণায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তিনি আধুনিকতার সঙ্গে ক্লাসিক্যাল ও আধুনিকোত্তর শিল্পের সম্মিলন ঘটিয়েছেন।"

1 2 3 4
|