চীনে অক্ষর দিয়ে শিল্পকর্ম সৃষ্টি করার শিল্পী আছে। কিন্তু লিউ ইয়ং কাংয়ের মতো এতো বেশি এবং বড় আকারের পাথর দিয়ে তৈরী করার শিল্পী খুব কম। লিউ ইয়ং কাং বলেন:
"বিদেশে আমি অনেক প্রদর্শনী দেখেছি। এসব শিল্পকর্ম থেকে অনেক কিছু শিখেছি। শিখেছি কিন্তু নিজের বৈশিষ্টকে এখনো সম্পূর্ণ করে তুলতে পারিনি। তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করতে শুরু করি, আমি কোত্থেকে এসেছি? আমার মূল কথায়? নিজের ভেতরে উত্তর খুঁজে পেলাম আমার মূল হলো চীনের ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি। ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি নিয়ে ভাষার অক্ষরে আমার আগ্রহ বেশি। তখন থেকে আমি বুঝতে পেরেছি আমার কোন দিকে চেষ্টা করা উচিত। আমি চীনের ঐতিহ্যিক ভাষার অক্ষর সংগ্রহ করে তাদের সঙ্গে তুলনা করে তারপর তাদের গঠনকৌশল নিয়ে গবেষণা করি। অবশেষে তাদের পর্যবেক্ষণের প্রত্যক্ষীকরণের চেষ্টা করি।"
বিংশ শতাব্দীর নব্বই দশকে লিউ ইয়ং কাং জার্মানীতে পড়াশোনা করেছেন। এর আগে চীনের চারুকলা জগতে তাঁর সুনাম গড়ে উঠে। ১৯৬৪ সালে অন্তর্মঙ্গোলিয়ায় লিউ ইয়ং কাং জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকা নিবিষ্ট হন। ১৯৮২ সালে তিনি চীনের সেন্ট্রাল একাডেমি অব ফাইন আর্টে ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে তার কয়েকটি একক প্রদর্শনী হয়েছে। পড়াশোনা শেষে তিনি চারুকলার শিক্ষক হয়েছেন। সেই সময় তার অনেক শিল্পকর্ম অনুবাসীদের প্রশংসা পেয়েছে। যেমন "পেই সা লা দা মু ইয়াং নুই"। এখনো অনেকের মনে । এ চিত্রকলা অন্তর্মঙ্গোলিয়ার একজন মেয়েকে নিয়ে সৃষ্টি করা । ছবিটি অনেকের মন কেড়েছে। লিউ ইয়ং কাং নিজেকে যখন গড়ে তুলছিলেন তখন হঠাত করে তিনি জার্মানীতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি জানান, এটা তার বহু দিনের একটি স্বপ্ন।
1 2 3 4
|