স্মিথ যখন জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের কাছে ঘটনা ব্যাখ্যা করছিলেন তখন একটি ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। জাতিসংঘের যুদ্ধবিমান তাঁদের তৈরি নকল সামরিক ঘাঁটির ওপর হামলা চালাতে শুরু করে। সৈন্যদের নিক্ষেপকৃত বোমার ঝলকানিতে ছেয়ে যায় পুরো আকাশ। একদিকে সৈন্যরা হাসতে থাকেন, আর অন্যদিকে অঝর ধারায় কাঁদতে থাকেন স্মিথ। অবশেষে তাদের লক্ষ্য বাস্তবায়িত হয়, রক্ষা পায় 'দোংমাকগোল' গ্রাম।
প্রিয় শ্রোতা, 'welcome to dongmakgol' 'ওয়েলকাম টু দোংমাকগোল' যুদ্ধ-বিরোধী চলচ্চিত্রটিতে মানবতার শক্তিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আসলে সৈন্য ও বিমান চালকসহ প্রত্যেকেই চান গ্রামবাসীদের মতো সহজ সরলভাবে শান্তিতে বাস করতে । তবে মাঝেমাঝে কেন এমন নিষ্ঠুর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়? আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তি চাই । আমরা চাই আমাদের মানবতাবোধ জাগ্রত হোক।
বন্ধুরা, জাপানের বিখ্যাত চলচ্চিত্র সঙ্গীত পরিচালক Joe Hisaishi জো হিসাইশি এ চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন। আশা করি ভবিষ্যতের যেকোনো একটি 'সুরের ধারা' অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে এ চলচ্চিত্রের সাউন্ড ট্র্যাক শোনাবো।
প্রিয় শ্রোতা, আজকের 'আলো-ছায়া' অনুষ্ঠান এখানেই প্রায় শেষ। প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবারের 'আলো-ছায়া' অনুষ্ঠান শোনার পর কোনো মতামত বা উপলব্ধি প্রকাশ করতে চাইলে অবশ্যই আমাদেরকে চিঠি বা ইমেইল লিখে পাঠাবেন। আমার ব্যক্তিগত ই-মেইল ঠিকানা হলো lyyui@cri.com.cn এবং আমাদের বিভাগের ই-মেইল ঠিকানা ben@cri.com.cn। দয়া করে দু'টো ঠিকানাতেই আপনার ই-মেইল পাঠাবেন। রেডিওয়ের মাধ্যমে আমাদের অনুষ্ঠান শুনতে না পারলে বা শুনতে মিস করলে বাংলা বিভাগের ওয়েবসাইটে শুনতে পারবেন। আমাদের ওয়েবসাইটের ঠিকানা হলো Bengali.cri.cn। আজকের অনুষ্ঠান থেকে এবার তাহলে বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং সুন্দর থাকুন। চাই চিয়েন। (লিলি)