আগে মাঝে মাঝে এই গ্রামটিতে বুনোশূকর গ্রামবাসীদের মাটি নিধন করতো। একদিন সেই বুনোশূকর আবার আসলো। মার্কিন বিমান চালক এবং দক্ষিণ ও উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা যৌথভাবে প্রথমবারের মতো একটি ইউনিট গঠন করে বুনোশূকরের সঙ্গে যুদ্ধ করলেন। তাঁদের যৌথ প্রচেষ্টায় অবশেষে বুনোশূকর মারা গেলো। সেই রাতে তাঁরা একসাথে ক্যাম্পফায়ার ঘেরাও করে বসে হাসিখুশিতে বুনোশূকরের মাংস খাওয়া শুরু করলেন। সেই মুহূর্তে তাঁরা ভুলে গেলেন যার যার বিভিন্ন রাজনৈতিক অবস্থান এবং পরিচয় । আসলে তাঁরা সবাই শান্তির আকাঙ্ক্ষায় ছিলেন, তবে ভয়াবহ যুদ্ধ তাঁদের এই আকাঙ্ক্ষা ভেঙ্গে দিলো।
সাধারণত সুখ-দু:খ একে অপরের সাথে যুক্ত। এখানেও তাই ঘটল। বিমান চালক স্মিথকে উদ্ধার করার জন্য জাতিসংঘের পাঠানো নির্দেশনা dongmakgol 'দোংমাকগোল' গ্রামের শান্তি কেড়ে নিলো। জাতিসংঘের ধারণা, 'দোংমাকগোল' গ্রামে শত্রুদের শিবির ছিলো, আর এই শত্রুদের হামলায় বিমান চালক স্মিথের বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিলো। তাই জাতিসংঘ dongmakgol 'দোংমাকগোল' গ্রামের ওপর বোমাবর্ষণ করার সিদ্ধান্ত নিলো। এই খবর পেয়ে বিমান চালক স্মিথ এবং দক্ষিণ ও উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা dongmakgol 'দোংমাকগোল' গ্রামকে রক্ষার সিদ্ধান্ত নিলেন।
dongmakgol 'দোংমাকগোল' গ্রামবাসীদের জীবন রক্ষায় স্মিথ এবং অন্য সৈন্যরা এই গ্রাম থেকে অনেক দূরে একটি নকল সামরিক ঘাঁটি তৈরি করলেন, যাতে জাতিসংঘের বিমান বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়। অন্য দিকে জাতিসংঘ বাহিনীর অনুরোধে স্মিথ গ্রামবাসীদের কাছ থেকে বিদায় নিলেন। কারণ একমাত্র স্মিথই পারেন জাতিসংঘ কর্মকর্তাদেরকে ঘটনার বিবরণ দিতে।