

সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে ডব্লিউইএফ জানায়, সরবরাহ বাধা দূর করা সম্ভব হলে বৈশ্বিক জিডিপি আরো ৪.৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। এ জন্য সরকারগুলোকে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করে অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা গড়ে তোলার কথা বলা হয় 'এনাবলিং ট্রেড: ভ্যালুয়িং গ্রোথ' শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে।
বেইন অ্যান্ড কোম্পানি এবং বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় তৈরি ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সরবরাহ প্রক্রিয়ায় বাধাগুলো দূর করার মধ্য দিয়ে বিশ্ববাণিজ্য ব্যাপকভাবে বাড়ানো সম্ভব, যার মধ্য দিয়ে জিডিপি বাড়তে পারে। এতে বলা হয়, যদি প্রতিটি দেশের সবচেয়ে ভালো পণ্য বা সেবার অর্ধেকেরও সরবরাহ বাধা দূর করা সম্ভব হয়, তবে বিশ্ববাণিজ্য ১৪.৫ শতাংশ বাড়বে এবং বৈশ্বিক জিডিপি বাড়বে ৪.৭ শতাংশ। আর এর মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রচুর কর্মসংস্থান হবে।
একটি তুলনা তুলে ধরে ডব্লিউইএফ প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হলে বৈশ্বিক বাণিজ্য বাড়বে ১০.১ শতাংশ এবং জিডিপি মাত্র ০.৭ শতাংশ। এতে বলা হয়, সরবরাহ প্রক্রিয়ায় বাধা দূর করা বাণিজ্য বৃদ্ধিতে অনেক বেশি কার্যকর। কারণ এতে অপচয় থেকে সম্পদ রক্ষা পাবে এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর খরচ কমবে।
একটি উদাহরণ টেনে প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নে যেখানে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে প্রয়োজনীয় শুল্ক কাগজপত্র তৈরিতে সময় লাগে মাত্র কয়েক ঘণ্টা, সেখানে ব্রাজিলে লাগে তার ১২ গুণ সময়। দুর্বল অকাঠামোর কারণে আফ্রিকার কয়েকটি দেশে পণ্যের মূল্য ২০০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায় বলেও এতে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সরবরাহ বাধা দূর করার মাধ্যমে রাবার উত্পাদন খরচ অন্তত ১০ শতাংশ কমানো যেতে পারে। (এসআর)

| ||||



