Web bengali.cri.cn   
১০০ জনের সম্পদে চারবার বৈশ্বিক দারিদ্র্যমোচন সম্ভব
  2013-02-04 15:07:27  cri
বিশ্বের শীর্ষ ১০০ ধনী ব্যক্তি গত বছর যে পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন, তা দিয়ে বিশ্বের চরম দারিদ্র্য চারবার দূর করা যায়। ব্রিটেনভিত্তিক সাহায্য সংস্থা অক্সফাম সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ দাবি করেছে। সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম শুরুর আগে প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে অক্সফাম অর্থনৈতিক বৈষম্যের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানায়।

'অসাম্যের বোঝা: চরম সম্পদ ও আয় কীভাবে আমাদের সবাইকে ক্ষতিগ্রস্ত করে' শীর্ষক প্রতিবেদনে অক্সফাম দাবি করে, বিশ্বের শীর্ষ ১০০ জন ধনী ব্যক্তি ২০১২ সালে প্রায় ২৪ হাজার কোটি ডলার আয় করেছেন। এই অর্থ দিয়ে বিশ্বের চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর অবস্থা চারবার বদলে ফেলা যায়। সোজা কথায় বললে অর্থ দাঁড়ায় বিশ্বের দারিদ্র্য দূর করতে যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন, শীর্ষ ১০০ ধনীর কাছে তার চার গুণ অর্থ আছে। অথচ চরম দরিদ্র মানুষগুলো দিনে মাত্র এক দশমিক ২৪ ডলারের (প্রায় ১০০ টাকা) কম আয়ে জীবনধারণে বাধ্য হচ্ছে।

অক্সফামের মতে, দরিদ্র মানুষের জন্য চাকরির নিশ্চয়তা ও যথাযথ মজুরির ব্যবস্থা না রেখে সীমিতসংখ্যক লোকের হাতে চরম মাত্রায় সম্পদ পুঞ্জীভূত হচ্ছে। ফলে কম আয়ের ও সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল মানুষ নিজেদের অবস্থা বদলাতে বা দারিদ্র্যের চক্র থেকে বের হতে পারছে না। সীমিতসংখ্যক মানুষের সীমাহীন সম্পদ দারিদ্র্য দূরীকরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অবশ্য বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের মতো আন্তর্জাতিক অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠাগুলো ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক অসমতা দূর করার ওপর জোর দিচ্ছে এখন।

অক্সফাম প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের জনসংখ্যার মাত্র এক শতাংশ ধনী লোকদের আয় গত ২০ বছরে ৬০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। এবং চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট ধনীদের আয় কমানোর পরিবর্তে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। ১৯৮০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আয়ের ১০ শতাংশ ছিল শীর্ষ এক শতাংশ ধনীর কব্জায়। এখন প্রায় ২০ শতাংশ আয় তাঁদের সম্পদে যুক্ত হয় প্রতি বছর।

অক্সফামের নির্বাহী কর্মকর্তা বারবারা স্টকিং বলেন, সীমাহীন সম্পদ অর্জন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিকর, সামাজিকভাবে বিভেদ সৃষ্টিকারী ও পরিবেশগতভাবে ধ্বংসাত্মক। তাঁর মতে, বিশ্বের জনসংখ্যার মাত্র এক শতাংশের হাতে সম্পদ পুঞ্জীভূত হওয়ার কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে মন্দা সৃষ্টি হয় এবং সাধারণ মানুষের জীবন আরো কঠিন হয়ে ওঠে। বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। (সূত্র: গার্ডিয়ান)(এসআর)

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
লিঙ্ক