'দ্য প্রেসিডেন্ট' চলচ্চিত্রে নির্বাসিত প্রেসিডেন্ট সঙ্গে করে তার ছোট নাতিকে নিয়ে যান। চলচ্চিত্রে শিশুটি দয়াবান এবং প্রেসিডেন্ট বুদ্ধিমান। মোহসেন বিশ্বাস করেন, শুরুতে মানুষ অনেক দয়ালু থাকে তবে জীবনের বহুতল বাস্তবতায় ধীরে ধীরে সে ভিন্ন মানুষ বা ভিন্ন চরিত্রে পরিণত হয়। তিনি মনে করেন, শিশুরা এমন একটি খারাপ পরিবেশ বড় হলে তারা পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য দিন দিন স্বার্থপর ও নিষ্ঠুর হয়ে উঠবে।

২০১৫ সালের হংকং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবের সুযোগ কাজে লাগিয়ে মোহসেন চীনে আসেন। এর আগে তিনি চীনা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চীনের রাজনীতি ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানেন। তিনি বলেন, 'গত ২০ বছরে চীনের অনেক ভালো চলচ্চিত্র ছিলো।' মোহসেন রাজনীতি ও বাস্তবতার সঙ্গে সম্পর্কিত চলচ্চিত্র দেখতে পছন্দ করেন। তার দেখা প্রথম চীনা চলচ্চিত্র হলো বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক চাং ই মৌয়ের পরিচালিত চলচ্চিত্র 'চু তৌ'।

তিনি ছোট বাজার থেকে ডিভিডি কিনে চলচ্চিত্র দেখেন। এটা হলো তার চীনা চলচ্চিত্র জানার প্রধান পদ্ধতি। ইরানে হাজার হাজার ব্যবসায়ী জেলে যাওয়ার ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও ভূগর্ভস্থ বাজারে ডিভিডি বিক্রি করে টাকা উপার্জন করেন। পুলিশ একদল ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে, পরের দিন আবার নতুন একদল ব্যবসায়ীকে বাজারে দেখা যায়। এটি হলো এমন একটি খেলা যা কখনও শেষ হবে না। আমরা চলচ্চিত্র নির্মাণ করি, তারা বিক্রি করে, পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে। এভাবে বৃত্তাকারে সবকিছু ঘুরছে যা কখনও বন্ধ হবে না।

মোহসেনের ধারণায়, ইরানের বর্তমান পরিস্থিতির কেন্দ্রীয় কারণ হলো, ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় শক্তি খুবই শক্তিশালী। যেমন, আমাদের নারীরা যখন বাইরে যেতে চান, তখন তাদেরকে নিজেদের মুখ ঢাকতে হয়। একজন মানুষ হিসেবে আমাদের জীবনের নানা সৌন্দর্য উপভোগ করা উচিত, তবে সরকার মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের ওপর ভরসা রাখার জন্য মানুষকে উত্সাহ দেয়।

হয়তো সবাই জানেন, ইরানে চলচ্চিত্র শুটিং করায় নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আছে। চলচ্চিত্রে কোনো ধরনের যৌনতা, কোনো ধরনের সশস্ত্র কর্মকাণ্ড এবং কোনো ধরনের রাজনীতি থাকতে পারবে না।