|
চলচ্চিত্রে নানীর একা একা নির্মাণ ব্লক খেলার দৃশ্য মনে গভীর দাগ কাটে।
নানীর সঙ্গে বাজারে সবজি বিক্রি করার অভিজ্ঞতা ছোট সাং উ'র মনকে ভীষণভাবে নাড়া দেয়। সে রাস্তার কোনে দাঁড়িয়ে স্বচোখে নানীর পরিশ্রম করে টাকা উপার্জন করা দেখে। নানী কথা বলতে পারেন না বলে তিনি অন্যান্য ব্যবসায়ীদের মতো চিত্কার করে ক্রেতাদেরকে আকর্ষণ করতে পারেন না। তিনি শুধুমাত্র অঙ্গভঙ্গি দিয়ে পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন। নানীর বয়স্ক হাত আর বলিরেখায় ভরপুর মুখ দেখে প্রত্যেক দর্শকের মন ছুঁয়ে যায়। এত কষ্ট করে টাকা উপার্জন করেও নানী বিনা দ্বিধায় দর কষাকষি না করেই সাং উ'র জন্য নতুন জুতা কেনেন।
এদিকে দিন দিন বড় হয়ে উঠে সাং উ, সে ধীরে ধীরে পরিপক্ক হয়ে উঠে। সে বুঝতে পারে, নানীর পক্ষে টাকা উপার্জন করা খুব সহজ নয়। সে নানীকে বুঝতে চেষ্টা করা শুরু করে।
চলচ্চিত্রের শেষে সাং উ নিজের প্রিয় খেলনা নিয়ে গ্রামের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে খেলতে চলে যায়। বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগে নানী প্যাকেজ করা কনসোল সাং উ'র হাতে দিয়ে দেন। সাং উ কনসোলের প্যাকেজ বিচ্ছিন্ন করার পর দেখতে পায় যে, সেখানে দুইটি টাকা রয়েছে । নানী জানেন, সাং উ'র কনসোলের ব্যাটারি শেষ হয়ে গেছে। নানী জানেন, যখন সাং উ কনসোল খুলে টাকা দেখবে, তখন সে খুব খুশি হবে। তাই নানী নিজের সীমিত টাকা সাং উকে দেন এবং আশা করেন, সাং উ বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে আনন্দের সাথে খেলতে পারবে। বিশ্বাস করি, এ দৃশ্য দেখে সবাই অবশ্যই অভিভূত হয়ে পড়েন। নানীর উষ্ণ ভালোবাসা সবাইকে মুগ্ধ করে। চলচ্চিত্রে এখানে সাং উ হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করে। আমরাও বুঝতে পারি, এখন থেকে সাং উ গভীরভাবে নানীকে উপলব্ধি করা শুরু করে এবং নানীর ভালোবাসা গ্রহণ করে।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |