'চলচ্চিত্র ও টিভি ক্ষেত্রে চীন ও ব্রাজিলের সহযোগিতায় লিপ্ত থাকা প্রথম ব্যক্তি আমি। এখন পর্যন্ত হয়তো আমিই একমাত্র। এ ক্ষেত্রে সকল 'প্রথম' আমিই সৃষ্টি করেছি। আমি চীন ও ব্রাজিলের সংস্কৃতি বিনিময়ের প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছি। কেননা দু'দেশের জনগণের বন্ধুত্বে আমি বিশ্বাসী। চীন ও ব্রাজিল বিশ্বের দু'দিকে অবস্থিত হলেও, দু'দেশের জনগণ ভাইয়ের মতো অন্তরঙ্গ। আমার নির্মাণ করা চলচ্চিত্রে দু'দেশের জনগণের মৈত্রী তুলে ধরতে চাই। আমার সকল প্রচেষ্টা হলো চীন ও ব্রাজিলের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের প্রমাণ।'
২০১৪ সালে পেইচিং টিভি কেন্দ্রের বসন্ত উত্সবের এক অনুষ্ঠানে স্যান্টোস অংশগ্রহণ করেন। এসময় তিনি লাল রংয়ের চীনের ঐতিহ্যবাহী পোশাক ছিফাও পড়েন। মাঝখানে ৩০টি বছর পার হয়ে গেছে। কিন্তু চীনা দর্শকরা কখনও স্যান্টোসকে ভুলে যান নি। স্যান্টোসের অভিনীত 'এসক্রাভা ইসাউরা' টিভি সিরিজের প্রধান নারী চরিত্র চিরদিন চীনা দর্শকদের মনের একটি সুন্দর স্মৃতি। অন্যদিকে স্যান্টোসও গভীরভাবে চীনা জনগণকে এবং চীনের সংস্কৃতিকে পছন্দ করেন। তিনি বলেন, 'আমি চীন, চীনা জনগণ ও চীনের সংস্কৃতি ভালোবাসি। আমি চীনকে নিজের মাতৃভূমি মনে করি। আমি বৌদ্ধ ধর্মে বিশ্বাসী। আমি বৌদ্ধ ধর্মের পুনর্জন্মবাদকে বিশ্বাস করি। আমি মনে করি, আবার যদি আমার জন্ম হয়, তাহলে আমি একজন চীনা হিসেবে দিন কাটাবো/গত প্রজন্মে আমি অবশ্যই একজন চীনা হিসেবে দিন কাটাতাম। কেননা আমার কাছে চীন অতি ঘনিষ্ঠ'।
1 2 3 4