তিনি বলেন, সবচেয় কষ্টের একটি অভিজ্ঞতা গত বছরের নভেম্বর মাসে ঘটে। তখন হিমবাহ শুটিং করার জন্য ছিও ছিওয়ের নেতৃত্বে তাঁর দল সমুদ্রসমতল থেকে ৬৬২১ মিটার উঁচুতে ইয়াংসি নদীর উত্স, অর্থাত্ কে লা তেন তোং তুষার পাহাড়ে যান। মাইনাস ৩০ ডিগ্রির শীত এবং সেই সঙ্গে গুরুতর উচ্চতাজনিত কারণে তিনি এবং তাঁর দল অনেক বিপদের সম্মুখীন হন। পাহাড়ের উপরের তুষার, পাহাড়ের বিস্তৃত অবাধ দৃশ্যপট শুটিং করার জন্য তিনি একা একা ক্যামেরা নিয়ে পাহাড়ের উপরে পৌঁছান। পৌঁছানোর পর তিনি বুঝতে পারেন, শীতের কারণে তাঁর হাত অবশ হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, 'আমি হাঁটতে হাঁটতে শুটিং করি এবং পাহাড়ের উপরে পৌঁছাই। আমি সব কাজ সম্পন্ন করতে চাই। সেই দিন অনেক ঠাণ্ডা, প্রায় মাইনাস ৩০ ডিগ্রি। অনেক শীতের কারণে আমার হাতের কোনো অনুভূতি ছিলো না। ক্যামেরার বাটন প্রেস করতে পারলাম না। তখন আমি ভাবলাম, কি করতে হবে। আমি আমার সঙ্গে থাকা একটি প্লাস্টিকের ব্যাগের ভেতরে প্রস্রাব করি এবং এই প্লাস্টিক ব্যাগটি হাতে ধরে কিছুটা উষ্ণতা পাই। পাহাড়ের নিচে ফিরে আসার সময় আমি দেখি আকাশে চাঁদ দেখা যাচ্ছে। তাই আমি ক্যামেরা কোলে নিয়ে ঘূর্ণায়মান অবস্থায় নীচে নেমে আসি। কারণ হেঁটে পাহাড়ের নীচে ফিরে আসার জন্য অনেক সময়ের প্রয়োজন। আকাশ অন্ধকার হবার আগে আমি পাহাড়ের নীচে ফিরে আসতে না পারলে সম্ভবত অনেক ঝামেলা হবে।'
যদিও শুটিং করার প্রক্রিয়া অনেক কষ্টের, তারপরও নিজের পছন্দসই দৃশ্য পাওয়া তাঁকে আনন্দ দিয়েছে। হলুদ নদীর জলাভূমি থেকে ছিংহাই-তিব্বত মালভূমি পর্যন্ত ছিও ছিও মোট সাত বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে এসব মুগ্ধকর দৃশ্য শুটিং করেন।
1 2 3 4 5