আমিরের জীবনের প্রেমের গল্পে যে রোমান্টিকতা রয়েছে তা আসলে চলচ্চিত্রের কাহিনী হিসেবে বেশ উপভোগ্য একটি বিষয় হতে পারে। ২১ বছর বয়সী আমির রীনা দত্ত নামে প্রতিবেশী পরিবারের একজন মেয়েকে ভালোবেসে ফেললেন। কিন্তু রীনার পরিবারের সদস্যরা হিন্দুধর্মের বিশ্বাসী এবং আমির একজন ঐতিহ্যবাহী মুসলমান। তাঁদের বাবা-মা স্বাভাবিক ভাবেই এই বিবাহের বিরোধিতা করলেন। তাই আমির রীনাকে নিয়ে পালিয়ে গিয়ে বিবাহ করেন এবং সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করতে থাকেন। সম্পর্ককে ভারতের সরকার ও সমাজ তাদের বিবাহ বন্ধনকে হিন্দু এবং মুসলমানের মধ্যে এক সম্প্রীতির আদর্শ হিসেবেই সম্মান জানায়। তবে দূর্ভাগ্যজনক ভাবে ২০০২ সালের আমির এবং রীনার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। ২০০৬ সালে ৪১ বছর বয়সী আমির তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী কিরন রাওকে বিয়ে করেন। বিবাহ অনুষ্ঠানে আমিরের সাবেক স্ত্রীর দুই সন্তানও উপস্থিত ছিলেন। বিবাহবিচ্ছেদ হলেও আমির তাঁর সাবেক স্ত্রী রীনার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক বজায় রাখেন। তিনি সাবেক স্ত্রীর প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করেন। এমনকি ঐতিহ্যবাহী উত্সব, আত্মীয়স্বজনের বিবাহ অনুষ্ঠান এবং নিজের তৈরী চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার অনুষ্ঠান প্রভৃতি প্রায় সকল অনুষ্ঠানেই সাবেক স্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান।
1 2 3 4