|
এদিকে ইয়াং ইয়াংকে ভীষণ ভাবে মিস করে থিয়েন খুও, সে নানান উপায়ে ইয়াং ইয়াং-এর সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে আগের মতো প্রেমানুভূতি ফিরে পাবার চেষ্টা করেই যাচ্ছে।
ছোট বোনের ওপর থিয়েন খুওয়ের সত্য ভালোবাসা দেখে বড় বোন সিও পোংও মুগ্ধ হন। সে ইয়াং ইয়াংকে বললো, শুধুমাত্র আমার স্বপ্ন পূরণ করা নয় একই সাথে বরং তোমার নিজের জীবনের দিকেও ফিরে তাকাতে হবে, পবিত্র এই প্রেমকে অবহেলা করা যাবে না কিছুতেই। এসময়ে দুই বোন প্রতীকী-ভাষা যোগ কথা বলছিল আর পরস্পরকে আলিঙ্গন করে কাঁদছিল।
একদিন থিয়েন খুও ইয়াং ইয়াংকে যে খাবার দিয়েছিল তার সব মূল্য ফেরত পায়। এতে সে মনে করলো যে, ইয়াং ইয়াং নিশ্চই তাঁদের ভালোবাসার সম্পর্কের অবসান ঘটাতে চায়। থিয়েন খুওয়ে মনে খুব আঘাত পায় এবং সে সরাসরি বাবা-মার কাছে জিজ্ঞাস করে যে, আমি কি একজন মুক-বধির মেয়েকে আমার মেয়েবন্ধু হিসেবে যোগাযোগ করতে পারি? মা-বাবার রাজি হওয়ার পর থিয়েন খুও ইয়াংইয়াংকে দেখার জন্য সুইমিং পুলে আসে। তারপর থিয়েন খুও ইয়াংইয়াংকে নিয়ে নিজের বাবা-মার সামনে আসে এবং তাদের সম্মুখেই ইয়াং ইয়াংকে জিজ্ঞাস করলো, তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে? বিস্ময়ের ব্যপার হচ্ছে ইয়াং ইয়াং মুখের ভাষাতেই উত্তর দিলো, আমি রাজী। সবাইতো অবাক! তখনই কেবল জানা গেলো যে ইয়াং ইয়াং আসলে কোনো মূক-বধির নয়। বোনের জন্যই তিনি এরকমটা করতো। কিন্তু শুরু থেকেই দুজনের প্রতীকী ভাষায় গল্পগুজব আর প্রয়োজনীয় আদানপ্রদানের ধরণ দেখে থিয়েন খুও মনে করেছিল যে সেও মূক ও বধির।
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |