|
এদিকে ইয়াং ইয়াংয়ের নিস্পাপ প্রাণবন্ত হাসি আর উচ্ছলতা থিয়েন খুও'-এর মনে এমনই গভীর ছাপ ফেলে যে, একটুখানি চোখে দেখার জন্য হলেও সে সুইমিং পুলের দরজার সামনে খাবার বিক্রি করতে আসে প্রতিদিন। সে জানতে পারে যে ইয়াং ইয়াংয়ের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। আর এটা জানার পর থিয়েন খুও প্রতিদিনই ইয়াং ইয়াংকে বিনা খরচে খাবার দিতে থাকে। ইয়াং ইয়াং এতে থিয়েন খুও-এর প্রতি গভীরভাবে মুগ্ধ হয়। তবে প্রতিদিন তাকে যে খাবার দিত ইয়াং ইয়াং তার হিসাব লিখে রাখতো, যাতে ভবিষ্যতে কখনো থিয়েন খুওকে সব টাকা ফেরত দিতে পারে।
দিনে দিনে ইয়াং ইয়াং এবং সিও পোং এই দুই বোনের প্রতি থিয়েন খুওয়ের জানার কৌতুহল গভীর থেকে গভীরতর হয়ে ওঠে। বড়বোন সিও পোংয়ের প্রতি ছোটবোন ইয়াং ইয়াংয়ের মমতামাখা সেবা আর যত্নে থিয়েন খুও অভিভূত হয়ে যায়।
একদিন থিয়েন খুও সাহস সঞ্চয় করে ইয়াং ইয়াংকে তাঁর মনের কথা বলে ফেলে, ইয়াং ইয়াং এতে সাড়া দেয় এবং তখন থেকে তাঁদের দু'জনের প্রেমময় সম্পর্ক গাঢ় হয়ে ওঠে। একবার তাদের মধ্যে খুব ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝির কারণে অনুরাগের ঝগড়া হলো। কাকতালীয় ভাবে সেই রাতেই আবার বড় বোন সিও পোং একটি অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়।
হাসপাতালে ইয়াং ইয়াং বোন সিও পোংয়ের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে তীব্র আত্মদহনে নিজেকে ক্ষতবিক্ষত করে তোলে। সে মনে করলো যে, তার অবহেলায় বড় বোন আহত হয়, সে যদি পাশে থাকতো তাহলে বোনের এই অবস্থা হতো না। এরপর থেকে সে থিয়েন খুওয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন করে দিয়ে একনিষ্ঠাভাবে সিও পোংকে দেখাশোনার সিদ্ধান্ত নেয়।
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |