|
প্রিয় শ্রোতা, আপনারা এখন চলচ্চিত্রের যে অংশ শুনছেন সেখানে হাসান ও তার বাবা আলির আমিরদের বাড়ি ত্যাগ করার দৃশ্য দেখানো হয়েছে।
আমির ও হাসানের বন্ধুত্বের অবসান ঘটে। তারপর আমির আত্মগ্লানির অনুভূতি নিয়ে বাবার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যায় সেখানে বসবাসের জন্য।
দু' হাজার সালের দিকে আমির একজন সুবিখ্যাত লেখক হিসেবে আবির্ভূত হন। কিন্তু শৈশবকালের স্মৃতি ভুলতে না পারার কারণে তিনি বিবেকের দংশনে বিদ্ধ হন।
একদিন আমিরের বাবার একজন প্রিয় বন্ধু রহিম খান তাঁকে ফোন করেন। ফোনে তিনি আমিরকে বলেন, 'তোমাকে জন্মস্থানে ফিরতে হবে। তাহলে আবার একজন ভালো লোক হওয়ার সুযোগ পাবে।'
প্রিয় শ্রোতা, আপনারা চলচ্চিত্রের যে অংশ শুনছেন সেখানে রয়েছে তাঁদের দু'জনের কথোপকথন।
পাকিস্তানে আমির রহিমের সঙ্গে দেখা করেন। রহিম আমিরকে অত্যন্ত গোপন একটা ব্যাপার জানান। আসলে আলি সন্তান জন্ম দিতে অপারগ ছিলেন। হাসান হচ্ছেন আমিরের বাবা এবং আলির স্ত্রী, অথাত্ হাসানের মার ছেলে। এ কথা শুনে আমিরের মন এলোমেলো হয়ে যায়। রহিম আরো বলেন, 'তুমি জানো, তুমি ও তোমার বাবা যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে তোমার বাবা আমাকে তোমাদের বাড়ি ভালোভাবে দেখাশোনা করতে বলেছিলেন। আমি অনেক গৃহরক্ষক নিয়োগ করেছি। কিন্তু তারা যথেষ্ট ভাল নয়। তাদের মধ্যে কেউ কেউ লোক অসত্; কেউ কেউ অলস। কয়েক বছরের আগে আমি হাসান ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে খুঁজে পেয়েছি। হাসান তোমাদের বাড়ির ওপর খুব ভালোভাবে নজর রাখেন। আমার স্বাস্থ্য দিন দিন খারাপ হয়ে যায়। তাই আমি পাকিস্তানে চলে এসেছি। আমার চলে যাওয়ার কিছুদিন পরে একদিন একদল সশস্ত্র ব্যক্তি তোমাদের বাড়িতে অনুপ্রবেশ করে। হাসান ও তার স্ত্রী বাড়িকেকে রক্ষা করার জন্য প্রাণ হারান। তাদের একমাত্র ছেলে সাহরাবকে অনাথাশ্রমেও পাঠানো হয়। তোমার উচিত্ সাহরাবকে সেখান থেকে এনে তোমার কাছে রাখা । কারণ সাহরাব তোমার ভ্রাতুষ্পুত্র।
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |