|
অন্য দিকে কিকুজিরো একজন বেকার মানুষ। অন্য কথায় বলা যায়, তাঁর কোন নিয়মিত চাকরি নেই। তরুণ সময় তিনি অবিমিশ্র জীবনের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন বলে অব্যাহতভাবে অন্যদের উপহাস পেয়েছেন। প্রতিদিন তিনি আকাশ থেকে পাওয়া হঠাত্ এক বড় সফলতার প্রত্যাশ্যায় রয়েছেন যাতে তিনি সুন্দরজীবন কাটাতে পারেন। কিন্তু দিনের পর দিন করে সময় চলে যায়। তাঁর হাতে কোন পুঁজি না থাকার কারণে প্রতিদিন তিনি স্ত্রীর ওপর নির্ভর করেন। একটি আকস্মিক সুযোগে কিকুজিরো মাসাওয়ের দুঃসাহসী অভিযানের সঙ্গে সম্পর্কিত হন। কিকুজিরোর স্ত্রী মাসাওয়ের অভিযানের সঙ্গী হিসেবে তাঁকে ৫০ হাজার ইয়েন দিয়েছেন। আসলে মাসাও কিকুজিরোকে পছন্দ করে না। কিন্তু একা একা অভিযান করতে মজা লাগে না। তাই সে রাজী হয়। কিন্তু স্ত্রীর দেওয়া ৫০ হাজার নিয়ে কিকুজিরোর অন্য পরিকল্পনা আছে। তিনি আনন্দের সাথে এসব টাকা দিয়ে একবার জুয়া খেলতে বসেন। অবশেষে তিনি স্ত্রীর দেওয়া টাকা এবং মাসাওয়ের পকেট মানিসহ সব টাকা হারেন। খুব রাগ করে তিনি একা একা মদ খেতে যান। মাসাওয়ের চোখের পানির কারণে তিনি তাকে তার মায়ের বাসায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
অবশেষে মায়ের ছবিতে লেখা ঠিকানা অনুযায়ী মাসাওয়ের মায়ের বাড়িতে পৌঁছে যান তাঁরা দু'জন। তাঁরা দেখেন, একজন সুন্দরী এ্যাপ্রোন পরে ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছেন। সেই সুন্দরী মাসাওয়ের মা। পরে তাঁরা দেখেন, ঘর থেকে একজন পুরুষ বেড়িয়ে আসেন এবং তাঁর হাতে একজন ছোট মেয়ের হাত ধরে আছেন। সেই ক্ষণে মাসাও বুঝেছে যে, আসলে মা তাকে পরিত্যাগ করেছেন এবং তিনি নতুন সংসার গড়ে তুলেছেন।
প্রিয় শ্রোতা, আপনারা চলচ্চিত্রের যে অংশ শুনছেন এতে এই দৃশ্য দেখানো হয়।
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |