|
তোংফাং মোটর কোম্পানি লিমিটেড
চীন ও জাপানের যৌথ বিনিয়োগে নয় বছর আগে প্রতিষ্ঠিত গাড়িনির্মাতা প্রতিষ্ঠান তোংফাং মোটর কোম্পানি লিমিটেড শূন্য থেকে অস্তিত্ব, অস্তিত্ব থেকে শক্তিশালী হওয়ার পথ অতিক্রম করেছে। এখন তোংফাং কোম্পানি ভারী, মাঝারী ও হালকা ট্রাক আর মোটরগাড়ি উত্পাদন করে। তৃতীয় পক্ষ গাড়ি মূল্যায়ন সংস্থা জে. ডি. পাওয়ার-এর বার্ষিক ব্যবহারকারীদের সন্তুষ্টি-মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, তোংফাং কোম্পানির অনেক ব্র্যান্ডের গাড়ি বহুবার ব্যবহারকারীদের সন্তুষ্টিতে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে।
আজ আমি আপনাদের নিয়ে চীনের হুপেই প্রদেশের শিইয়ান শহরে অবস্থিত তোংফাং মোটর কোম্পানি লিমিটেড দেখতে যাবো। আমরা একসাথে সে কোম্পানির লক্ষণীয় সাফল্য অর্জনের রহস্য জানবো।
তোংফাং গোষ্ঠি আর জাপানের নিসান কোম্পানি প্রত্যেকে ৫০ শতাংশ মালিকানা নিয়ে যৌথ বিনিয়োগে তোংফাং কোম্পানি লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করে ২০০৩ সালের জুন মাসে। এখন এ কোম্পানি চীনের গাড়িনির্মাণ শিল্পের মধ্যে বিদেশের সঙ্গে সহযোগিতার আকারে বৃহত্তম, সর্বোচ্চ সংখ্যক কর্মী এবং সবচেয়ে ব্যাপক কর্মক্ষেত্রের একটি কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। এখন এ কোম্পানির কর্মীর সংখ্যা ৭৬ হাজার।
তোংফাং মোটর কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে কিউ সি ডি উন্নয়ন বিভাগ আছে। এ বিভাগে জাপানি কর্মীর সংখ্যাও অপেক্ষাকৃত বেশি। কিউ সি ডি হচ্ছে জাপানের মোটর শিল্পের একটি সাধারণ উক্তি। এর মানে গুণগত মান, উত্পাদন ব্যয় আর অর্পণের সময়। কিউ সি ডি উন্নয়ন বিভাগের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে বিশ্বের একই শিল্পে নিজ কোম্পানির পণ্যের মান যাচাই করা, এ বিভাগের মাধ্যমে পুরো কোম্পানিতে জাপানের নিসান কোম্পানির পরিপক্ক ব্যবস্থাপনা আর উপায় বয়ে আনা, উত্পাদনের কার্যকারিতা ও পণ্যের গুণগত মান উন্নত করা, উত্পাদন ব্যয় হ্রাস করা, পণ্য অর্পণের সময় নিশ্চিত করা এবং প্রতিষ্ঠানের মূল প্রতিযোগিতা শক্তি গড়ে তোলা।
তোংফাং মোটর কোম্পানি লিমিটেডের কিউ সি ডি উন্নয়ন বিভাগের প্রধান লিয়াও ছুয়ান ইয়ু বলেন, জাপানি কর্মীর চিন্তা ও কাজের পদ্ধতি পরিমাণ নির্ণয় করে। সকল সূচক বাস্তবায়নের দায়িত্ব প্রতিটি কর্মীর। প্রতিটি কাজ উপাত্ত দিয়ে ব্যাখ্যা করতে হয়। এটা তোংফাং কোম্পানির ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। তোংফাং কোম্পানির কিউ সি ডি উন্নয়ন প্রযুক্তির উপদেষ্টা জাপানি বিশেষজ্ঞ আকিরা মিকামি বলেন, 'যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার প্রথম দিকে আমাদের মধ্যে কম-বেশি সাংস্কৃতিক দূরত্ব ছিল। এখানকার অনেক কর্মী কখনো জাপানে যায়নি। হঠাত্ তাদেরকে জাপানের কাজের পদ্ধতি বললে তারা তা গ্রহণ করতে পারে না। এখন আমি আন্তরিক ও নরম উপায়ে তাদের নির্দেশ দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি এখানে এসেছি এক বছর হলো। আমার কাজের ফলাফল আস্তে আস্তে প্রতিফলিত হয়েছে।'
বহু বছর ধরে চীন ও জাপানের ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি সমন্বয় করার পর এখন তোংফাং কোম্পানির বিভিন্ন বিভাগে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। তোংফাং কোম্পানির কিউ সি ডি উন্নয়ন বিভাগের প্রধান লিয়াও ছুয়ান ইয়ু বলেন, 'প্রথম পরিবর্তন হচ্ছে আমাদের কৌশলগত ব্যবস্থাপনার সামর্থ্য বেড়েছে। দ্বিতীয় পরিবর্তন হচ্ছে ব্যবস্থাপনা আরো স্পষ্ট হয়েছে এবং প্রক্রিয়াকরণ ও ব্যবস্থায়ন বাস্তবায়িত হয়েছে। তৃতীয় পরিবর্তন হচ্ছে এখন বিভিন্ন বিভাগ সুষ্ঠুভাবে মিশে যেতে পারে। অতীতে বিভিন্ন বিভাগ সবসময় একা একা কাজ করতো। নানা ক্ষেত্রে আমাদের কর্মীদের গুণ বিপুল মাত্রায় উন্নত হয়েছে।'
| ||||
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |