ন্যাটোর ‘ওয়াশিংটন শীর্ষ সম্মেলন ঘোষণায়’ চীন-সম্পর্কিত বিষয়বস্তুর দৃঢ় বিরোধিতা বেইজিংয়ের
2024-07-11 21:00:58

জুলাই ১১: ন্যাটোর ‘ওয়াশিংটন শীর্ষ সম্মেলনের ঘোষণা’য় চীন-সম্পর্কিত বিষয়বস্তুতে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উত্তেজনাকে অতিরঞ্জিত করা হয়েছে এবং এটি স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা ও উস্কানিমূলক মন্তব্যে পূর্ণ। এতে কুসংস্কার, অপব্যবহার এবং উস্কানির বিষয়ে চীন চরম অসন্তুষ্ট এবং এর বিরোধিতা করছে বেইজিং। চীন, ন্যাটোর কাছে নিজের মতামত প্রকাশ করছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন চিয়ান আজ বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা উল্লেখ করেছেন।

জানা গেছে, ১০ তারিখে ন্যাটো ‘ওয়াশিংটন শীর্ষ সম্মেলন ঘোষণা' জারি করে। এতে অভিযোগ করা হয় যে, চীন ন্যাটোর স্বার্থ, নিরাপত্তা ও মূল্যবোধকে চ্যালেঞ্জ করে চলেছে এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সমর্থক হয়ে উঠেছে। চীনের মুখপাত্র লিন চিয়ান উল্লেখ করেছেন যে, ন্যাটো প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকীর প্রেক্ষাপটে এই শীর্ষ সম্মেলনটি ন্যাটোর টিকে থাকার প্রয়োজনীয়তা প্রমাণের জন্য, যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোর ‘গৌরব’ এবং ‘ঐক্য’ প্রদর্শন করেছে এবং এটিকে ‘শান্তি রক্ষণাবেক্ষণ সংস্থার’ পোশাক পরিয়ে দিয়েছে। তবে এটি কখনই এই সত্যকে আড়াল করতে পারে না যে, ন্যাটো স্নায়ুযুদ্ধের, শিবির সংঘাত এবং গোষ্ঠী রাজনীতির একটি পণ্য। লিন চিয়ান বলেছেন যে, ইউক্রেন ইস্যুতে, ‘চীনের দায়বদ্ধতার’ তথাকথিত, অযৌক্তিক অভিযোগ করা হয়েছে এবং এর অশুভ উদ্দেশ্য রয়েছে।

 ন্যাটো মহাসচিবের মন্তব্যে, চীনের সৃষ্ট তথাকথিত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য, ন্যাটোকে অবশ্যই ইন্দো-প্যাসিফিক দেশগুলোর সাথে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। এ বিষয় নিয়ে লিন চিয়ান উল্লেখ করেছেন যে, ন্যাটো এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পৌঁছানো এবং চীনের প্রতিবেশী দেশ ও মার্কিন মিত্রদের সাথে সামরিক ও নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদার করার মূল কারণ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইন্দ-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি’ বাস্তবায়ন করা। যা চীনের স্বার্থের ক্ষতি করেছে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সন্দেহ ও বৈরিতা জাগিয়েছে।

(স্বর্ণা/হাশিম/লিলি)