চীন-দক্ষিণ এশিয়া বাণিজ্য ২০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত
2024-07-09 19:57:34

জুলাই ৯: চীনের জাতীয় পরিষদের তথ্য কার্যালয় আজ মঙ্গলবার বিকেলে বেইজিংয়ে অষ্টম চীন-দক্ষিণ এশিয়া এক্সপো এবং চীন-দক্ষিণ এশিয়া অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা প্রবর্তনের বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী লি ফেই জানান, ‘একতাবদ্ধ, সহযোগিতা করুন এবং অভিন্ন উন্নয়নের সন্ধান করুন’- এই থিমে আগামী ২৩ থেকে ২৮ জুলাই ইউনানের খুনমিংয়ে অষ্টম চীন-দক্ষিণ এশিয়া এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে। এটি হবে চলতি বছর চীন ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিনিময় কার্যক্রম।

২০১৩ সালে, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ‘এক অঞ্চল এক পথ উদ্যোগে’র আওতায় যৌথ নির্মাণের প্রস্তাব করেন। একই বছরে, ‘বসন্তের শহর’ খুনমিংয়ে প্রথম চীন-দক্ষিণ এশিয়া এক্সপো  অনুষ্ঠিত হয়। উভয়পক্ষের নেতাদের কৌশলগত দিকনির্দেশনার অধীনে, চীন এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো বিগত ১১ বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রমাগত বাস্তব সহযোগিতাকে গভীরতর করেছে এবং অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য বিনিময় উন্নয়নের একটি ভাল গতি বজায় রেখেছে এবং এর ফলাফল সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর জনগণকে উপকৃত করেছে।

প্রথমত, বাণিজ্য সহযোগিতা পারস্পরিক সুবিধা এবং জয়-জয় ফলাফল প্রচার করে। ২০২৩ সালে, চীন এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে, যা ২০১৩ সালের তুলনায় দ্বিগুণ। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হিসাবে চীন তার মর্যাদা সুসংহত করে চলেছে। পাকিস্তানে চাল, শ্রীলঙ্কার লাল চা, মালদ্বীপের সামুদ্রিক খাবার, আফগানিস্তানের পাইন বাদাম ইত্যাদিসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে আরও বেশি সংখ্যক পণ্য চীনা বাজারে প্রবেশ করেছে এবং চীনা ভোক্তাদের পছন্দ হয়েছে।

দ্বিতীয়ত, অবকাঠামোর সংযোগ জনগণের জীবন-জীবিকা এবং মঙ্গলকে উন্নত করে। দক্ষিণ এশিয়ায় জনগণকে উপকৃত করে এমন বিপুল সংখ্যক অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে, যা স্থানীয় জনগণের জন্য প্রকৃত সুবিধা নিয়ে এসেছে। চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর নির্মাণের কাজ ক্রমাগতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে কর্ণফুলী নদীর নিচে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলটি এবং চীন-মালয়েশিয়া মৈত্রী সেতুটি শুধুমাত্র স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতায়াতের সুবিধাই দেয়নি বরং স্থানীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

তৃতীয়ত, বাস্তবসম্মত সহযোগিতা ঐতিহ্যগত বন্ধুত্ব অব্যাহত রাখে। চীন এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো পাহাড় এবং নদী দ্বারা সংযুক্ত এবং তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। আকস্মিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হলে উভয় পক্ষের লোকেরা একে অপরকে সাহায্য করেছে এবং একসাথে অসুবিধাগুলো কাটিয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, উভয়পক্ষ সক্রিয়ভাবে আন্তর্জাতিক চিকিত্সা সহযোগিতা চালিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় জনগণের জীবনযাত্রায় সহায়তা এবং অবকাঠামো নির্মাণের জনসম্পদ প্রশিক্ষণে চীন অব্যাহত সহায়তা করেছে। নতুন যুগে দু’পক্ষের ঐতিহ্যবাহী মৈত্রীর নতুন প্রাণশক্তি দেখা দিয়েছে।

একই সময়ে, বছরের পর বছর উন্নয়নের পর, চীন-দক্ষিণ এশিয়া এক্সপো চীন এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে। বর্তমানে সকল পক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অষ্টম চীন-দক্ষিণ এশিয়া এক্সপো প্রস্তুত হয়েছে। আমরা আন্তরিকভাবে খুনমিং সম্মেলনে যোগদানের জন্য দেশ ও বিদেশের সকল স্তরের বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানাই। (স্বর্ণা/হাশিম/তুহিনা)